ফেনসিডিল আর অস্ত্র আনলে বিএসএফ কিছুই বলেনা, হত্যা করে গরু আনলে
৯ জুলাই ’০৯ সকালে ঘুম থেকে উঠার আগেই কান্নার রোল পড়ে যায় বেনাপোল সীমান্তের পাঁচ ভুলোট গ্রামে। এ গ্রামের অনেকেই ভীড় করেন পার্শ¦বর্তি অগ্রভুলোট গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া সীমান্ত নদী ইছামতির পাড়ে। তারা জানতে পারেন ওপারে গরু আনতে যাওয়া তাদের অনেক স্বজন বাড়ি ফেরার সময় বিএসএফর গুলিতে নিহত হয়েছে। তারপর ওপারের বন্যাবাড়িয়া এলাকায় চেয়ে থেকে তারা হা-হুতাশ করতে থাকেন। কেউ কেউ নদীর পাড়ে গিয়ে বুক চাপড়ে কাঁদতে থাকেন স্বজনদের পরিনতি না জানতে পেরে। আবার কেউ কেউ খবর জানার জন্য দৌড়-ঝাপ করতে থাকেন অগ্রভুলোট বিডিআর ক্যাম্পে। বেলা ১১ টার দিকে সে কান্না আরো বেড়ে যায় পাঁচভুলোট গ্রামের হোসেন আলী নামে এক ব্যক্তি হার্ট এ্যাটাকে মারাগেলে। হোসেন আলী জানতে পারেন গরু আনতে গিয়ে তার ছেলে আরিফ হোসেনও বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছে। পুত্র শোকে হোসেন আলীর হার্টএ্যাটাক হলে বেলা ১১ টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পিতা-পুত্রের এই করুন মৃত্যু ছাড়াও অন্যদের মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসা ছাড়াও থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ওপার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়- গরু আনতে যাওয়া সবাই নয়, ৩ জন নিহত হয়েছে। তারা হলো-পাঁচভুলোট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সবুজ (২০), জামায়াত আলীর ছেলে আহমদ আলী (২২) এবং পার্শ¦বর্তি গোপালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৩)। তবে যার নিহত হওয়ার খবরে পিতা হোসেন আলী হার্টএ্যাটাকে মারা যান সেই আরিফের কোন খবর তখনো পাওয়া যায়নি। একদিকে পুত্রশোকে পিতার মৃত্যু-অন্যদিকে আরিফের শেষ পরিনতি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানতে না পারা নিয়ে তাদের স্বজনদের মাঝে চলতে থাকে শোকের মাতম। শোকের মাতম চলতে থাকে সবুজ,আহমদ আর সাদ্দামদের পরবিারেও। সেখানে হাহাকার চলতে থাকে তাদের সন্তানদের করুন পরিনতি নিয়ে। ওপারের বাসিন্দারা নানাভাবে এপারের শোকাহত পরিবারগুলোকে জানিয়ে দেয়, নিহতদের লাশ বন্যাবাড়িয়ার পাকা রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। ভোর ৫ টার দিকে বন্যাবাড়িয়া ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাদের গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তারা গরু নিয়ে ঐ এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অগ্রভুলোট গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ তাদের ল্যকরে ঠান্ডা মাথায় ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এতে ঐ ৩ বাংলাদেশী নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়। পরে বিএসএফ নিহতদের লাশ নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ঐ সীমান্তে থমথমে অবস্থার পর কান্নার রোল পড়ে যায়।
শুধু ৯ জুলাই নয়, সাতীরা থেকে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের দীর্ঘ প্রায় ৬শ’ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় প্রায় ঘটছে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গর্জে উঠছে বিএসএফএর আগ্নেয়াস্ত্র। তাতে কাপন উঠছে এপারের অনেক দরিদ্র পরিবারে। উঠছে কান্নার রোল। অঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক তরতাজা যুবক। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলেও তা বন্ধে কার্যকর কোন পদপে নিচ্ছে না প্রশাসনসহ কোন মহল। যে কারণে প্রাণহানির তালিকা দিনদিন বাড়ছেই। সরকার শুধু বিডিআর-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা করেই দায়িত্ব শেষ করছে। সে সব আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিএসএফকে তা মানতে বাধ্যও করতে পারছে না। একদিকে বিএসএফ সরকারের সাথে আলোচনা করে বলছে তারা আর নির্বিচারে গুলি চালাবেনা, অপরদিকে ঠিক সেই কাজটিই করছে আলোচনা চলাকালেই। এ েেত্র তারা কোন নিয়ম-নীতিও মানছে না। আবার এপারের প্রশাসনও তাদের নাগরীকদের অকালে জীবন হারানো থেকে রা করতে নিচ্ছে না কার্যকর কোন পদপে। যে কারণে প্রাণ হানি ঘটেই চলেছে। কয়েক দিন পরপরই বিএসএফএর গুলিতে কেপে উঠছে কোন না কোন সীমান্ত এলাকা। তাতে কান্নার রোল উঠছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে।
এখন প্রায় সারা দেশের মানুষই জানে ওপারে গিয়ে যারা ফেরার পথে বিএসএফএর গুলিতে নিহত হচ্ছে, তাদের বলা হচ্ছে-তারা সবাই গরু ব্যবসায়ী। ওপার থেকে গরু আনার পথেই এই ‘ব্যবসায়ীরা’ বিএসএফএর গুলিতে নিহত হচ্ছে। অনেক েেত্র এপারের প্রশাসনের প থেকেও বলা হচ্ছে, কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই বিএসএফ গরু ব্যবসায়ীদের গুলি করে হত্যা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যারা গরু আনতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে তাদের কেউই ব্যবসায়ী নয়, চোরাচালানী। তারা অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ওপার থেকে গরু নিয়ে আসার পথেই বিএসএফএর গুলিতে নিহত হচ্ছে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও এর অবসানে কার্যকর কোন পদপে নিচ্ছে না সরকার বা স্থানীয় কোন প্রশাসন। যে কারণে প্রাণ হানিও বন্ধ হচ্ছে না। বিএসএফও এপারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সবধরনের নিয়ম-কানুন উপো করে ঘটাচ্ছে একের পর এক বর্বর ঘটনা। গত আড়াই মাসের এক পর্যবেণে দেখা গেছে এ সময় বিএসএফএর হাতে ১৩ জন নিহত হয়েছে। এসব েেত্র তারা এমন কিছু বর্বর ঘটনাও ঘটিয়েছে যা থেকে সীমান্ত এলাকায় যে কোন সময় ঘটে যেতে মারাত্মক অঘটন। যা থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটতে পারে।
গত ২৩ এপ্রিল’১০ ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের বাগডাঙ্গা গ্রামের ওপারে বিএসএফ আব্দুল খালেক নামে এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর ৪ মে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয় যশোরের বেনাপোল সীমান্তের পুটখালি গ্রামের মধু মিয়া। ঐ দিন ভোর ৪ টার দিকে গরু আনার সময় আংরাইল ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে। ২৪ মে ভোর রাতে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জুলুলী সীমান্তের মাসিলা গ্রামের হামিদ চৌকিদারের ছেলে হারুন (২০)। সেও প্রাণ হারায় গরু আনার সময়। বিএসএফ এর নির্যাতনে ১ জুন নিহত হয় সাতীরা সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের আসাদুল হক (৩৫)। বিএসএফ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। ২৬ জুন বিএসএফ এর নির্যাতনে নিহত হয় যশোরের বেনাপোল সীমান্তের ঘিবা গ্রামের আলী হোসেন (৪২)। বিএসএফ তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে। ২৭ জুন বেনাপোল সীমান্তের ওপারের হরিদাসপুর ক্যাম্পের বিএসএফ এপারের বড়আচড়া গ্রামের যুবক রুবেলকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করে। একই দিন সাতীরার কলারোয়া সীমান্তের চন্দনপুর গ্রামের সাইদুর রহমানকে ওপারের গড়জালা ক্যাম্পের বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। গত ১১ জুলাই সাতীরা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয় সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের ওমর আলী (৩৫) এবং ইটাগাছা গ্রামের আব্দুর রহমান (৩৭)। বিএসএফ তাদের গুলি করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। এভাবে প্রায় তারা লাশ ফেলছে বাংলাদেশীদের। অথচ নিয়ম-কানুন মানলে এই প্রাণহানি এড়ানো যেত। বিএসএফও জানে তারা যাদের গুলি করে হত্যা করছে তারা নিম্ন পর্যায়ের চোরাকারবারি। তারা এমন কোন অপরাধি নয়, যাদের দেখলেই অস্ত্র গর্জে উঠাতে হবে। বিএসএফ ইচ্ছা করলেই তাদের তাড়িয়ে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। তাদের বিচার হতে পারে অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের দেশে প্রবেশ বা চোরাচালান সংক্রান্ত ধারায়। কিন্তু তারা তা না করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে। এমনকি যাদেরকে তারা ধরতে পারছে তাদেরকেউ নির্মম ভাবে পিটিয়ে, শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে, নোখের মধ্যে কাটা ফুটিয়ে, গাছে ঝুলিয়ে, সারা শরীর চটকিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু প্রচলিত আইনে বিচার করলে অপরাধ অনুযায়ী তাদের শুধু জেল-জুলুম হতো। তা ভোগ করে তারা আবার স্বজনদের কাছে ফিরে আসতে পারতো। কিন্তু তাদের বর্বরতার কারণে তা হচ্ছে না।
বিএসএফ তাদের বর্বরতার আরেকটি নিদর্শন স্থাপন করে গত ২২ এপ্রিল রাতে। ঐ রাতে তারা সাতীরার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের রবিন্দ্রনাথ মন্ডলকে গাছের সাথে বেধে তার সামনেই স্ত্রী কল্যাণী রাণীকে গণধর্ষণ করে। রবীন্দ্রনাথ এই বর্বরতার প্রতিবাদ করতে থাকায় খোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের কতিপয় বিএসএফ জওয়ান ধর্ষণ শেষে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ধর্ষিতা ও তার নিহত স্বামীর লাশ ফেলে রেখে যায় সাতীরার লদিাড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। খবর পেয়ে সাতীরা সদর থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ধর্ষিতাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে তিনি জানান, তারা কোন অপরাধী নয়, ৬ মাস আগে চিকিৎসার জন্য তারা কোলকাতা গিয়ে গড়িয়া এলাকার একটি বস্তিতে থাকতো। একটু সুস্থ হওয়ায় ম্বামীকে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। কিন্তু খোজাডাঙ্গা সীমান্তে পৌছুলে বিএসএফ তাদের ধরে ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গাছের সাথে বেধে তাকে একটি রাস্তার পাশে নিয়ে উপর্যপুরি ধর্ষণ করে। তার স্বামী এর প্রতিবাদ করতে থাকায় বর্বর বিএসএফ জওয়ানরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। বিএসএফ এর এ ধরনের বর্বরতার অনেক নিদর্শন রয়েছে। কিন্তু করার কিছুই নেই।
এপারের চোরাচালানিরা ওপারে গিয়ে যে অপরাধ করছে তাতে কারো দ্বিতম নেই, কিন্তু তাদের উপর যে বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তা বন্ধের উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে না। বিএসএফ গরু চোরাকারবারিদের যে ইচ্ছা করে হত্যা করছে তার বড় প্রমান হচ্ছে, এ পর্যন্ত তাদের হাতে অসংখ্য গরু চোরাকারবারি নিহত হলেও তারা একজন অস্ত্র চোরাচালানি বা হেরোইন-ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে হত্যা করেনি। অথচ সাতীরা থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক ও অস্ত্র আসছে। যা এদেশের যুবসমাজকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিএসএফ এদের কিছুতো বলেইনা বরং সহযোগিতা করে। আর একারণেই এসব সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ট্রক ট্রাক ফেনসিডিল পাচার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারছে। বিএসএফ ওপারে তা আটক করেছে তেমন কোন নিদর্শনও নেই। বিএসএফ-এর এই আচরণই প্রমান করে তারা গরু পাচারকারিদের ইচ্ছা করেই গুলি করে হত্যা করছে। বিষয়টি সম্পর্কে উভয় দেশের প্রশাসন জানলেও কোন পই তা বন্ধে কার্যকর পদপে নিচ্ছে না।
গরু চোরাচালানীদের হত্যার কারণ হিসাবে জানাগেছে, প্রথম দিকে এপারের ও পারের কিছু চোরাচালানী সংঘবদ্ধ হয়ে ওপারের কৃষকদের গরু চুরি করতো। তারপর ঐ গরু নিয়ে আসা হতো এপারে। এপারে যেহেতু ভারতীয় গরু এনে বিক্রি করা বৈধ তাই কোন সমস্যা হতনা। এতে ওপারে গরু চুরি বেড়ে যায়। তিগ্রস্তরা বিষয়টি বিএসএফকে জানালে তারা গরু চুরি রোধে কঠোর অবস্থান নেয়। এরপর থেকেই গরু পাচার করতে দেখলেই তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-ঘৃণ্য এ কাজটি কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে যায়। ওপারের কৃষকরা গরু চুরি রোধ করতে সতর্ক আর বিএসএফ-এর কড়াড়ির কারণে গরু চুরি করে আনা বন্ধ হয়ে যায়। এখন এপারের সব ক্রেতায় ওপার থেকে টাকা দিয়েই গরু কিনে নিয়ে আসে। তবে তাদের যাতায়াতটি অবশ্যই অবৈধ। তবে তা গুলি করে হত্যা করারমত অপরাধ নয়।
এপারের সীমান্ত এলাকাতেও খোঁজনিয়ে জানাগেছে, ওপারে যারা গরু আনতে যায় তারাও এটাকে খারাপ কাজ হিসাবে দেখেনা। কারণ গরু আনতে গেলে বিডিআর কিছু বলেনা। গরু আনার পর নিয়ম মাফিক শুল্ক দিয়ে দিলেই তারা ঐ গরু প্রকাশ্যে বিক্রি করতে পারে। শুধু এতটুকু সুযোগ পাওয়ার কারণেই সীমান্ত এলাকার অতিদরিদ্র কিছু মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে ওপারে যায় গরু আনতে। তারপর এদেরই কেউ না কেউ ফেরার পথে বিএসএফ এর গুলিতে প্রাণ হারায়। তারপর অতিদরিদ্র এসব পরিবারগুলো আয়করার লোক হারিয়ে আরো দরিদ্র হয়ে যায়। বিরাজমান অবস্থায় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও এখন বলছেন, এখন প্রশাসনের পদপে নেয়া উচিৎ। যে প্রক্রিয়ায় গরু আনা হচ্ছে তা বন্ধ করা হোক। তাতে অন্তত এদেশের মানুষের উপর বিএসএফ এর বর্বরতা কমবে। কমবে এদেশের মানুষের প্রাণ হানিও। #
(লেখাটি ২০০৯ সালের। প্রতিবেদনটি পড়ে একটি পত্রিকার দায়িত্বে থাকা প্রায় সবাই প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তারপরও লেখাটি ছাপা যায়নি মালিক পরে আপত্তির কারণে। কিন্তু প্রতিবেদনে সত্যি কথাটিই বলা হয়েছিল এখনো বিএসএফ নির্বিচারে এপারের লোকজনকে গুলি করে হত্যা করছে। সর্বশেষ গত পরশুও সাতীরা সীমান্তে তাদের গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছে। এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচৎ। )
যশোর, ১৯ এপ্রিল’ ১১