সবার জন্য শিক্ষা- সাম্য- মানবতার কথা বলে বলে আজ দেশের শিক্ষাবিদের সর্বোচ্চ সম্মানিত পদে আসীন মহান ব্যক্তিরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে মান ভাঙ্গালেন। উনাদের অনুরোধ না রেখে পারেননি, না খেয়ে থাকা শিক্ষকেরা। আন্দোলন স্থগিত। আন্দোলন এবং স্থগিতায়নের কত তম পর্ব ছিল তার হিসাব শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দও জানেন না বলে জানা যায়। তবে, আবার প্রথম থেকে আন্দোলন শুরু করবেন এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন শিক্ষক সমাজের একাংশ। ওই যে একাংশ, এমন অনেক আশ্চর্যজনক শব্দ আছে। যারপরনাই দুঃখজনক হলেও, 'শিক্ষা' নিয়ে বাংলাদেশের কীর্তিকলাপ কিংবা অপলাপ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, শব্দটি শুনামাত্রই হাসি পায়। কারণ, আমার একার কিচ্ছু করার নাই। জীবনের একমাত্র সম্পদ জীবন দিয়েই বুঝেছি এদেশে মহান শিক্ষাব্যবস্থার অবয়ব ব্যবহার করে জাতিকে যতটা সম্ভব মেধাশূন্য করে দাসে পরিনত করার কৌশল বাস্তবায়িত হচ্ছে। নইলে, জাতীয় অধ্যাপক সরকারকে দাবী মানতে বাধ্য করার বিষয়টি বিবেচনা না করে, শিক্ষকদের আশ্বাস খাওয়াতে গেলেন কেন। জাতীয় অধ্যাপক মহোদয় নিজের জীবনে অন্তত ১ হাজারবার শিক্ষা ও শিক্ষকের গুরুত্ব-মহত্বের কথায় জোর দিয়েছেন। বক্তৃতা, গল্প, উপন্যাস, কবিতায় উনারাই আমাদের বারবার জানিয়েছেন- শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ না হলে জাতির অগ্রযাত্রা সম্ভব নয়। তাহলে, দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত মহান অধ্যাপকেরা, শিক্ষকদের বেতনের সরকারি অংশ পাওয়ার সামান্য চাওয়ার সাথে একাত্ত্ব না হয়ে সরকারে অঙ্গীভূত হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বলে ভেবে নিতেই পারি। এদেশে শিক্ষার জাতীয়করণের বিষয়টি আগামি কয়েক দশকের জন্য স্থগিত হয়ে গেল। আমিও, শিক্ষা- মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যাপকমণ্ডলীর বানীর যথার্থতা স্থগিত করেছি। হে মহামান্যগণ, আপনাদের বাণীগুলো ফিরিয়ে দেওয়া যায়কি?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২১