ঠিক আজকে যে ঘটনাটা ঘটেছে তা ঠিক আজকের নয়। ৭১'র পরবর্তী বাংলাদেশে প্রতিদিন ঘটছে। ৮১,র পরে মানুষেরা, হয়ত জন্মাবধি প্রতিদিন শুনে আসছেন। ২০০১'র পরবর্তী প্রজন্ম ঘন্টায় এমন খবর শুনে আসছে। প্রতিদিন একই গ্রুপের নতুন নতুন ঘটনা-দূর্ঘটনার খবর পাচ্ছি আর নতুন করে হতাশ হচ্ছি; কোন ঘটনা মনে ছাপ ফেলার সময় পায় না। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিকুল কর্তৃক যা যা ঘটানো সম্ভব তার সমম্তপ্রকার নমূনা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের মানুষেরা। অভিনব উপায়ে নব নব কায়দায় প্রতি মুহূর্তে ঘটছে আর জানছি আর জানাচ্ছি। সংবাদ আদান-প্রদান করে থাকলেও আসলে কি করছি, সে খেয়ালও থাকে না। সাম্প্রতিক ইহকালে ঘটে যাওয়া ঘটনার সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে; আমরাও পাল্লা দিয়ে মেতে উঠছি, মজে যাচ্ছি। নির্মাণাধীণ পদ্মা সেতু আর নির্মাণবিলাস মেট্টোরেলের ব্যয় অগ্রিম কিস্তিতে বেড়েই চলছে। বিশ্বব্যাংক কেন আউট হল তার খবরে লেগে থাকতে পারিনি। আমাদের মজিয়ে রাখার মাজেজা ঐ শ্রেণিটা বুঝে গেছে।
গত এক মাসের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, আমরা কোন এক বিষয় নিয়ে লেগে থাকিনি। কৌটা আন্দোলন কোন প্যাকেটে টুকেছে সে খবর আর রাখছি না। এরপর, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ক্রস-ফায়ার, বদি, একরাম, রমজান, বিশ্বকাপ ফুটবল, দেশীজ ক্রিকেট, মাল-জিনিস; কি নেই আমাদের মুখবর্ষণে।
কোন একদিন আরবে নাকি বসন্ত এসেছিল; কিন্তু দেখলাম চির খরা। ভাগ্যিস, আমাদের দেশে এখনও শীত- বসন্ত কিছু আসেনি। তবে, এভাবে উদ্দেশ্যহীন চলতে থাকলে দু'চোখের বর্ষা চিরস্থায়ী না হয়ে পারবে না।
আমরা কি খবরের খাবার হয়ে থাকব?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১০