somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২৫০০-৩০০০ টাকা কিন্তু অনেক টাকা

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রত্যন্ত গ্রামের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা সম্পন্ন করেছি। সেমিস্টার ফি ছিল ২ হাজার ১৫ টাকা। আর মেসে থাকা-খাওয়ার খরচ সবমিলিয়ে ২৫০০-৩০০০ টাকা। এই সামান্য টাকা জোগাড় করতে পারতাম না আমি। বাড়ি থেকে টাকা পাঠালেই কেবল এসব খরচ মিটত। খুব চেষ্টা করতাম কিছু একটা করি, নিজের খরচে নিজে চলি। কিন্তু নানান কারণে হয়ে উঠেনি।

স্থান বদল করেছি কেবল, যদিও একটা-দুটো সুযোগ ছিল, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। শুধু হা-হুতাশ করে দিন গুজরান করেছি। পিছিয়ে পড়ার কারণ অবশ্যই অন্তর্মুখী স্বভাব। অন্যরা পারলে আমি কেন পারিনি? আসলে তখন কাউকে সমস্যার কথা বলতে পারতাম না। যাদের বলতাম, তাদের অনেকের ইচ্ছা ছিল না আমাকে কিছু করে দেওয়ার, আবার কারও সুযোগও ছিল না।

দিনে দিনে দিন ফুরিয়েছে। নিজের জড়তা কেটেছে। বাস্তবতা বোঝা হয়েছে। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। এখন পুরোনো দিনের কথা ভাবি। দুঃখ বিলাস করি। আমার বন্ধু রিফাত আর মোতালিব দুঃখ করে বলে, কখনও বলোনি তো।

আমি কিছু বলি না। ওদের বলা যেত, ওরা সহযোগিতাও হয়তো করত। রিফাত বেশি দুঃখ করে। কারণ, আমার দুঃসময়ে সে থাকতে পারেনি অথচ তার দুঃসময়ে আমি ছিলাম বলে। আমার দুঃসময়ে সে এমন এমন বন্ধুর পেছনে অর্থ খরচ করেছে, যারা এখন পয়সাওয়ালা হলেও তার খোঁজ নেয় না।

যখন অল্প অল্প টাকা উপার্জন করা শুরু করলাম, কারও সমস্যার কথা শুনলে চেষ্টা করতাম উপকার করার জন্য। শুধূ টাকা দিয়ে নয়, আমি যে যে সেক্টরে কাজ করেছি, সেসব সেক্টরে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অনেকে অবশ্য এসব চাকরি করেনি। তারা আরও ভালো সুযোগ খুঁজত। আমি আফসোস করতাম, আহা আমাকে একটা যেকোনো কাজ যদি কেউ দিত তখন!

কাজ খুঁজতে খুঁজতে জুতার তলা ক্ষয়ে গেছে, পায়ে ব্যথা ধরে গেছে। পদে পদে প্রতারিত হয়েছি। যেখানে নিজেই চলতে পারি না, সেখানে দেখা গেছে ধার করে একে ওকে টাকা দিয়ে ঠকেছি।

তবে এসব অভিজ্ঞতা শিক্ষা দিয়েছে আমাকে অনেক। আপন পর চেনা গেছে। একটা বিষয় ভালো মতো বোঝা গেছে, কেউ সমস্যা্র কথা বলছে মানে এটা সমাধান করতেই হবে; এমন না। আমাদের আশপাশে এমন অনেকেই আছে যারা চাইলে অনেকের জন্য অনেক কিছু করতে পারে, কিন্তু করে না। এর সমালোচনা করা যায়। তবে এটাও সত্যি, সে যেভাবেই করুক নিজের যোগ্যতায় করেছে, অন্যকে সহযোগিতা করতে তো সে বাধ্য না।

অনেককে সহযোগিতা করার পর দেখা গেছে সে আরও বিপদে ফেলে গেছে। সে বুঝতেই পারেনি কোন পরিস্থিতিতে তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে।

ছবি
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....

জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গলা-বুক জ্বালা দেখে অম্বলের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক, চ্যাটজিপিটি ধরল ক্যানসার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯






ক্যানসার ধরল চ্যাটজিপিটি! চিকিৎসকেরা ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয় মহিলার। চ্যাটজিপিটিই বলে দেয়, কী রোগ বাসা বেঁধেছে তলে তলে। চিকিৎসকেরা ধরতেই পারেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

এআই দ্বারা তৈরিকৃত রাজনৈতিক কার্টুন—যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অসাম্যতা ও রাজনৈতিক নির্ভরতার প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৬


বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮




ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।

এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×