somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এল আঁধার ঘিরে (২)

২৩ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগের পর্বের লিঙ্ক Click This Link

“তুমি চাইলে এই মাস থেকে যেতে পারো।” মালিক রেজওয়ান সাহেব বললেন।

তূর্য চুপ করে রইল। কী বলবে বুঝতে পারল না। অন্য চাকরির ব্যবস্থাও তো নেই যে মুখের ওপর বলে দেবে আর আসবে না।

রেজওয়ান সাহেব বললেন, “তিন তলাটা ভাড়া হবে। একটা টু-লেট টানিয়ে দিও। নিচে তোমার নম্বর দিও।”
“আমার নম্বর কেন?” অস্বস্তির সাথে তূর্য জিগ্যেস করল।

রেজওয়ান সাহেবের মেজাজ খিঁচড়ে গেল। বললেন, “তাহলে তোমাকে রাখব কেন?”
তৎক্ষণাৎ মুখের ওপর জবাব দিল তূর্য। বলল, “থাকতেও চাই না।”

রেজওয়ান সাহেব রণমূর্তি ধারণ করলেন। বললেন, “আগের ম্যানেজাররা তোমার মতো এমন ছিল না।”
“অন্য একজনের অনুরোধ না থাকলে আমিও এখানে এতদিন থাকতাম না।” তূর্য বলল।

রেজওয়ান সাহেবের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। বেতন দেন ওনি, অথচ অন্যর গুণকীর্তন শুনবেন কেন? তূর্যকে চলে যেতে বললেন। বললেন, তার বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।

তূর্য হয়তো এতটা প্রতিবাদী হতো না। গত পাঁচ মাস তো কম অপমান সহ্য করেনি। মুখের চা পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। লোকজনের সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়েছে। সবই সহ্য করেছে। মালিকের বাসায় গেলে বসতেও দিত না। খাবার দেওয়া তো দূরের কথা। তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মূলত ম্যানেজার হিসেবে, অথচ তাকে দিয়ে বাসার কাজও করানো হতো। এমনও হয়েছে সকালে বাসায় গিয়েছে রাত ১০টায় কাজ শেষে বের হতে হয়েছে। এসব নিয়ে কষ্ট পেলেও কিছু বলেনি। এবার প্রতিবাদমুখর হলো অন্য কারণে।

অসুস্থতার কারণে একটু বিশ্রাম চেয়েছিল। মালিক সে সুযোগ দেননি। উল্টো বলছিলেন, “তুমি এক রাত ভবনে অবস্থান করবে। কেয়ারটেকার শনিবার বাসায় চলে গেলে পুরো ফ্ল্যাট ফাঁকা রাখা যাবে না।”

অফিসের ডাইনিং ব্যবহার করতে চাইল সে। মালিক নাকচ করলেন। বললেন, “তোমার দাবি-দাওয়া বেশি হয়ে গেছে। সামনের মাস থেকে অন্য চাকরি খোঁজো।”
“ঠিক আছে। আপনিও অন্য লোক দেখুন।” তূর্য বলেছিল।

অন্য লোক এলো। পরিবেশ দেখল। তার ভালো লাগেনি। বেতনও পোষাবে না বলল। তাই দু’দিনের মাথায় চলে গেল। রেজওয়ান সাহেব ভাবলেন তূর্য’র দায় আছে কিছুটা। অথচ তেমন কিছু পেলেন না। তাই তূর্যকে ডেকে বলেছিলেন, “তুমি চাইলে এই মাস থেকে যেতে পারো।” বিষয়টা তূর্যকে প্রতিশোধপরায়ণ করেছিল। সে কি এত বেশি সস্তা হয়ে গেছে দুনিয়ায়? ‘তোমাকে কেন রাখব, অন্য ম্যানেজাররা এমন ছিল না’ এসব শুনে রাগান্বিত হয়ে তাই মুখের ওপর জবাব দিয়েছিল

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×