চৈতালি প্রভাতে বসে আছি ঘরেতে
কর্মহীন কাটিছে বেলা,
নির্জন চারিপাশ, নিদ্রা চোখেতে;
লাগিছে দেহে কীসের দোলা।
গেঁয়ো পথ ধরে লোকজন যায় দূরে
চারিদিকে কতো ঘরবাড়ি,
কতো পাখি হেন থাকি থাকি বাসা ছেড়ে
আহারের সন্ধানে জমাইছে পাড়ি।
সূর্যের আলো পুকুরে পরে শেওলা সরে
প্রাণিরা সেথায় পানি খায়,
রোদ্দুর পথে দাঁড়ায়ে বৃক্ষ তপ করে
বিধির মহিমা তার গায়।
গাঁয়ের তরুণ দেহে যৌবন তেজ ঢের
অবিরাম মাঠে করে কাজ,
পড়শির হিতার্থে ঝাঁপাইয়া পড়ে ফের
অচরজ কাজে ফাঁকিবাজ।
তটিনীর কূলে ছেলেরা লাটিম খেলে
কোথাও নেই লিঙ্গ ভেদ,
যেন রিস্তেদার, থাকে সদলবলে;
হয় না কখনো বিচ্ছেদ।
হাসি-কান্না, ঝড় কতো ভুবনে আসে
অতুলনীয় গাঁ, চির চেনা;
এত শোভা হয়ে বোবা যাব ভালোবেসে
মোর বসতি শেষ ঠিকানা।
১১ চৈত্র ১৪১৫ বঙ্গাব্দ
২৫/০৩/০৯ খ্রিষ্টাব্দ