হারাধনের দশটি ছেলে, একটি মরলো জ্বরে,
ঘরের মধ্যে ঘোরের ভেতর নয়টি রইলো পড়ে।
ছাই ভাসিয়ে একটি ভাই পড়লো পিছলে ঘাট,
হতবাক সব রইলো চেয়ে বাকি গন্ডা আট।
মরা বাড়ি জ্বলেনা উনুন; খেলো বাসি ভাত,
পেটের ব্যামোয় মরে গিয়ে সংখ্যা হল সাত।
কুনজর লেগেছে ভেবে হারার মনে ভয়,
ওঝা এসে ঝাড়ু মেরে সাত করে দিল ছয়।
হারার বউ কাঁদতে কাঁদতে ভাঙলো চুড়ি কাঁচ,
দুধের ছাওটা গড়িয়ে পড়ে এবার হল পাঁচ।
সাবধান সব একদম কেউ নড়বে নাকো আর,
চাঁদির উপর ধপাস তাল; হারার রইলো চার।
ঘটলো কীসব না বুঝতেই পেরিয়ে গেলো দিন,
পিঠি ভাইটির গলায় ফাঁস শোকের রইলো তিন।
হারা এবার হাউমাউ করে মূর্ছা যায় শুই,
জল আনতে সাপের কামড় করে দিলো দুই।
একি ভাই, একে একে সবই গেলো বেঁকে,
দুই কি তবে আজ রাতেই ঠেকবে গিয়ে একে!?
ভগবানের কৃপা হলো; মরলো না আর কেউ।
রাত পেরিয়ে উঠলো রবি; আনলো নতুন ঢেউ।
হারাধনের দশটি ছেলে রইলো বাকি দুই,
ছয়টি হাতে সামলে চলে কাপড় বোনা সুঁই।
বি.দ্র:- দীর্ঘদিন ব্লগে আসি না, ব্লগে ঝামেলা ছিল আবার আমার পাসওয়ার্ড নিয়েও কিছু জটিলতা ছিল। আবার সময়ও একটা বিশাল হেতু। লকডাউনের সময়টাতে আসা যেত, কিন্তু আলস্য বা অনিচ্ছা কিছু একটা হবে। যদিও আমি মিস করি অনেককেই এবং প্রায়ই এসে এমনিতেই ঘুরে যাই। এর মধ্যে অসুস্থ হয়েছিলাম। টেস্ট করাইনি, কিন্তু লক্ষণ সবই মিলে যায়। একে একে ঘরের প্রায় সবাই। এখন মোটামুটি সুস্থ আছি। যেহেতু এই কয়দিন যা মন চায় তাই বলেছি প্রলাপের মত, হোক সেটা উল্টাপাল্টা যুক্তিহীন কথাবার্তা, এমনকী গান গাইতে গাইতে লিরিক্স ভুলে গেলেও সুর ধরে রেখে ইচ্ছেমতো গাইছি, ঠিক তেমনি গতকাল সন্ধ্যায় ছোট ভাইকে কি একটা অযথা কথা বলতে গিয়েই এই ছড়ার উৎপত্তি। বহুবার যোগীন্দ্রনাথ সরকারের এই ছড়াটার প্রথম লাইন শুনেছি, কিন্তু পুরো ছড়াটা পড়িনি/শুনিনি আগে বা পড়লেও কিছুই মনে ছিল না। ছড়াটা লেখা শেষ করে তারপর আসল ছড়াটা পড়লাম। মা'কে শোনালাম, মা মজা পেয়েছেন। আমিও মজা পেয়েছি। মনে হল, যাই না, ব্লগে একটু ঢুঁ মেরেই আসি। এখন তো লকডাউন তুলে দিয়ে সব খুলে দিয়েছে, যোগ্যতমের টিকে থাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭