নেশায় আমার শরীর, মন কি যে করছে! নিজের হাত কামড়ে ধরছি, মধ্যমার মধ্যখানে কামড়ে ধরছি। গলায় মুখে আলতো হাত বোলাচ্ছি। এ কোন অনুভূতি হায়! আমি যে নিজেই লাজে মরে যাচ্ছি। কি যেন একটা হচ্ছে ভেতরে। মুচকি এক হাসি ঠোঁটে ধরেই রেখেছি। এ আকুতি ভালোবাসার, গভীর প্রেমে মগ্ন হওয়ার। ভালোবেসে আদর করার। এই মুহূর্তে আমার চোখ দেখলে, প্রেমিক তোমার যে কি হতো ! আচ্ছা আমি এমন কেন, কিছুই লুকাতে পারিনা তোমার কাছে ! বসে বসে নেশাসক্তের মত ঢুলছি। ওহ! কি বিদ্যুৎ ঝলক আমার শরীরে! হাতগুলো বারবার মাথায় যাচ্ছে, নিজেকে নিজেই আদর করছে। আলিঙ্গনের বিশাল শূন্যতা যেন তীব্রতা নিয়ে চেপে বসেছে বুকের ওপর। তোমার স্পর্শের জন্য ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেছে ওখানে। চুম্বনে আবেশে মাতোয়ারা এক প্রেমের গন্ধ পাচ্ছি আমি। তোমার দেহের গন্ধ এই নেশা অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভালোবেসে উথাল পাথাল হতে ইচ্ছে করছে। এই পাগল পাগল অনুভূতিতে আমি যেন আরও অনেকক্ষণ থাকি। এক অনির্বচনীয় সুখ অনুভূত হচ্ছে ভেতরে। কত ধীরে আমি শান্ত হবো ! শরীরের সমস্ত রক্তে এক দারুণ উদ্যমতা, চঞ্চলতা। বুকের কাঁপন কেন এত বেশি! তলপেট দিয়ে ধীরে কি যেন নেমে যাচ্ছে। বোধহয় হঠাৎই আমার শরীরের সমস্ত হরমোন বেড়ে গেলো। দেহ আর ভার বইতে চাইছে না তার। তাই তো বের করে দিতে এত উতলা হয়েছে আজ সে। লেখার মাধ্যমেই সেই সমস্ত কিছুকে রূপান্তর করে বেরিয়ে যেতে দিচ্ছি আমি। ওহ! কামোন্মত্ত নেশা তুমি ভাষা হয়ে বেরিয়ে যাও। স্তন আঁকড়ে ধরা অনুভূতি তুমি শব্দে শান্ত হয়ে যাও। চুষে নিয়ে যাও সমস্ত কিছু। তোমরা এভাবে চলে গেলে বাকি যা বস্তুগত সে প্রকৃতির নিয়মেই যাবে। কিন্তু কোন ভণ্ড কামুক পুরুষের কাছে আমি যাবো না। আমার এই সমস্ত নেশা এই সবকিছু সেই চোখের জন্যই যে চোখে আমি সত্যিকারভাবেই আমার জন্য গভীর প্রেম দেখি। যে চোখ আমাকে দেখে আমার মতই উতলা হয়। যেখানে ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে কোনরকম সংশয় থাকে না আমার। সেই পবিত্র ছোঁয়া আমি যেন কম্পনেই বুঝি। তার হৃদয় যেন আমার হৃদয়কে অনেক বেশি আনন্দিত করে আগেই দখল করে নেয়। বাঁধনহারা করে তোলে আমার সব অনুভূতিকে। নেশাসক্ত হয়ে প্রেমের দৃঢ় বন্ধনে সেখানেই শৃঙ্গারে সঙ্গমে সমুদ্রে স্নান করতে চাই আমি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২