আমাকে ভদ্র হতে বলোনা
বলছো এত অলস আমি হলাম কি করে?
তান্ডবের আগুনতো ঠিকই জ্বলে ভেতরে !
সেটা কি কোন কম্ম নয় ?
লন্ডভন্ড খেলায় কি কম শক্তি ক্ষয় ?
আমি উদ্যানের গাছ হয়ে যাবো।
পাপিয়ার পিহুতে পাড়া মাতাবো।
শুধু আমায় ভদ্র হতে বলোনা।
একেকটি নিসঙ্গ রাতে আমি
নিস্তব্ধতার কড়ি গুণেছি।
সভ্য ভাষার প্রত্যয়ে ব্যস্ত শব্দজাল বুনেছি।
তবু সুধীজন আমি হতে পারিনি।
আমি চাই না হতে ক্ষমতাময়ী পর্বত,
কঠিনতম তক্ষশীলা।
দূর্ভেদ্য নগরীতে আমার নির্বুদ্ধিতাই প্রাণের লীলা।
সহস্র যোজন পাড়ি দিয়ে তোমরা আজ ঊর্ধ্বাকাশে,
জ্ঞানীর আসনে।
কিন্তু আমার যে মাটির পুতুলই শ্রেষ্ঠ লাগে
মন আস্বাদনে।
তোমরা আমার কেড়ে নিতে চাও সব সঞ্চয়।
আলসে কুঁড়ের বেঁচে থাকাটাই হয় ভয় !
আমি জবাব দিবো জবান খুলে গেলে।
তার আগে বলো, তোমরা কোথায় কি পেলে ?
এইটুকুই তো ছিলো আমার চাওয়া,
স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বাদ পাওয়া।
বিঃদ্রঃ- বলা হচ্ছে যে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে, সেই মুশফিক মাহবুব ছিল মানসিক রোগী !! কি ভয়ঙ্কর আশ্চর্যের ব্যাপার ! একজন মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষ এমন স্ট্যাটাস দিতে পারে ! তার বন্ধু বান্ধবরা বলেছে, মুশফিক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল না, সে ভীষণ হাসিখুশি ছিল, কখনো তার কোন সমস্যা আছে বলেও মনে হয়নি। এছাড়া তার বিগত স্ট্যাটাসগুলো দেখলেও বোঝা যায় সে কতটা জয়ফুল মাইন্ডের ছিল। এমন নয় যে স্ট্যাটাসগুলো অনেক আগের। একেবারে রিসেন্ট স্ট্যাটাসেই দেখা যায় সে ফান লাভার ছিল। এমন ছেলে কি করে মানসিকভাবে অসুস্থ হয় ?! তার ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় জীবনের প্রতি কতটা আগ্রহী ছিল সে। আবার আরও আশ্চর্যের ব্যাপার এই ছেলেটা 'শহীদ রমিজ উদ্দিন হাইস্কুল'র প্রাক্তন ছাত্র ছিল, যে স্কুল-কলেজেরই দুই ছাত্রছাত্রী সম্প্রতি নিহত হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনায়। আর যার ফলে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সরকারকে। আমার কেমন রহস্যজনক মনে হচ্ছে ব্যাপারটা। শুধুই কাকতাল মানতে চাইছে না মন। বিষয়টার জোর অনুসন্ধান করা দরকার বলে মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮