ব্যাঙ্গময়ী ভয়
ওরা তা বুঝতে পারে না,
কারণ, ওদের সে ক্ষমতা হয় নি।
ওরা দেখতে পায়না আনন্দময়ী ঊষা,
চিরন্তন অবিচ্ছিন্ন ঔজ্জ্বল্য! কারণ,
ওদের সে দৃষ্টি নেই।
ওরা পারেনা অনুভব করতে মানবের;
কেবলই মানবের চরম অনুভূতি! কেননা,
ধীরে বহে তাদের অনুভব স্নায়ু।
কিন্তু আসলেই কি তাই?
ওরা কি বোঝেনা কি অপরিসীম শক্তি লুকিয়ে আছে
তাদের ঐ তথাকথিত অক্ষমতার উর্দির অন্তরালে !?
পারে,
চাইলেই পারে ওরা বুঝে যেতে জীবন ও জগতের
জটিল অথচ কি আবেগময় প্রাঞ্জল সমীকরণ!
ইচ্ছে করলেই পারে নয়নমিথুনের লেন্সের ফোকাসে
চিরন্তনী আনন্দের প্রতিবিম্ব ফেলতে। এবং
পারে সেটিকে চিরন্তনী হিসেবেই ধরে রাখতে।
ইচ্ছে শক্তির জোয়ারে যে ক্ষীণস্রোতা স্নায়ুর পুকুরে
মহাসমুদ্রের বিশাল ঢেউ তোলা যায়, তা কি ওরা জানে না?!
নাকি জেনেও না জানার ভান ধরে;
কোন এক কল্পিত রাহুর গ্রাসের আশায় !!
ভয়; বড় হাস্যকর ভয় ওদের মনে।
এই যে আলোর শহরের বাসিন্দারা,
তোমরা কি কেউ আসতে পারো না-
সদর দরোজা খুলে নিয়ে যেতে তাদের;
যুগান্তরের ব্যাঙ্গময়ী ভয় ঢুকে গেছে যাদের
জিন কোডে !
বি.দ্রঃ- শুধু বিরাম চিহ্ন কয়েকটা ঠিক করে দিয়েছি।
ছবি- গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৯