একটি বিমূর্ত চিত্রকলার মত বলছি, আমার মত সামান্য একজন কর্মচারীকে নতুন বলে শেখ হাসিনা চিনতে চেয়েছেন। তার মানে তিনি বা সরকার তার আশেপাশের সবাইকেই চেনেন। সবই তাঁর নখদর্পণে থাকে। কোন নেতা বা কেউই তাঁর অজ্ঞাতে কিছু করতে পারে না বা করে থাকতে পারে না। কিন্তু তদন্ত বা সন্দেহের চোখ থাকে ভুল মানুষের উপর। সাদা পোশাকের কলেজ ছাত্ররা হোল এদেশের সহজ সরল প্রকৃত ছাত্রদের প্রতীক। যারা সত্যিকার অর্থে যে কোন সময়ে দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকে অথচ সবচেয়ে বেশি বঞ্চনারও স্বীকার হয়। কর্মক্ষেত্রে কেউই তার উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেনা। দিন দিন দ্রব্যমূল্যের চড়া গতির কারণে সবার মনে হয় আগেই ভালো ছিল। অথচ আগেও এমনটা ছিল। কেউ কেউ ভুগেছে কেউ কেউ ভোগেনি। বেতন দাতাদের কখনোই সমস্যা হয় না, তারা সবসময়ই দাঁত কেলিয়ে হাসতে পারে। আবার বেতন বাড়ালে ভ্যাট হিসেবেই বাড়তিটুকু রেখে দিয়ে পুষিয়ে নেয়। ছাপোষা মানুষেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া বেশীরভাগই কিছু করতে পারে না। কেউ যদি প্রতিবাদ করে তবে তারা প্রথমে একটু চঞ্চল হয়ে ওঠে আপসের ভাব দেখায়। কিন্তু পরক্ষনেই ছলনার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যেমন উসকানিমূলক, দেশদ্রোহী বা ধর্মানুভূতিতে আঘাতের কথা বলে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করে। পঙ্গু চিন্তার ধারক হলেও তাদের দা, বটি, চাপাতির এতো নৃশংসতা থাকে যে সুস্থ বা ন্যায় চিন্তার মানুষকে পালিয়ে বাঁচতে হয়। বয়স্ক ব্যক্তি হলেন মুক্তিযুদ্ধের ধারক এবং তিন বন্ধু হোল বুদ্ধিজীবীগণ। তারা সরকারের বন্ধু থাকেন কিন্তু শোষিত মানুষকেও বাঁচাতে চান। স্নেহময় পিতার মত সরল ধর্মবিশ্বাসী মানুষ বা বন্ধুদের সাহায্য পেলে বাঁচা হয়তো যায় কিন্তু রুদ্ধশ্বাসে পালিয়ে থাকতে হয়। পথের পাশে গল্পরত বৌ-ঝিরা হোল সেই বাংলাদেশের প্রতীক যে বাংলাদেশে মানুষ ধর্ম পালন করতে ভালোবাসে কিন্তু তাই বলে মেয়েদের ধর্মের ভয়ে ঘরে কুণ্ঠিত হয়ে থাকতে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০