হাতের মুঠোয় নিয়ে পৃথিবীটাকে ঘুরেছি অনেক
আজ বহুদিন পর সেই পৃথিবীকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
কি জানি বেঁচে আছে, নাকি ঝরে গেছে ফুল হয়ে।
একসময় পাহাড়ের মৌনতা দেখে হাসতাম খুব।
ভাবতাম নিঃসঙ্গতাই বুঝি তার পরম আত্মীয়…
আজ সেই বিশাল পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে
গর্বিত কণ্ঠে বলতে ইচ্ছে করছে, আমি নিঃসঙ্গতাকে
আকণ্ঠ গিলে খেয়েছি। ছুঁয়েছি পাহাড়ের না বলা কষ্ট।
নদীর উচ্ছলতা আমার বুকে ঈর্ষার আগুন জ্বালাতো।
ভাবতাম এ জন্মে নদী হয়ে জন্মালাম না কেন!
কিন্তু আজ স্পষ্টতই বুঝতে পারছি,
আমি সেই ফেনিল সমুদ্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি
যার চতুর্ধারে কলকল শব্দে ছুটে আসছে অজস্র নদী।
নিজের পোশাক-পরিচ্ছদের দুরবস্থা দেখে এখন আর
দুঃখ পাই না। কারণ কেতাদুরস্ত আবরণের ভেতর
অনেকের দাম্ভিকতা আর বোকামিতে আমি হতভম্ব।
মাটিতে মিশে যেতে প্রস্তুত আমি। কিন্তু কখনই
নিজের আকাশটা কালিমায় ডুবিয়ে দিতে পারবো না।
আমার চোখের ভেতর অনেকে অত্যুজ্জ্বল ভবিষ্যৎ খোঁজে।
অনেক আশা আর স্বপ্নের আকর আমার চোখদুটো।
অক্ষম ক্রোধে ইচ্ছে করে চোখদুটো উপড়ে নিই আমি।
এতগুলো মানুষকে কিভাবে প্রতারিত করা যায় যখন
নিজের নিয়তিকে চৈত্রের অনলে পুড়তে দেখি দাউদাউ…
শুন্যতা থেকে জন্ম আমার। জানি শুন্যেই ফিরে যাব।
অন্ধকারে মিলিয়ে যাবে আমার সুখ-দুঃখ-ক্লান্তি।
তবু একটা স্পর্ধিত ইচ্ছা আমি পুষে রাখি হৃদয়ে-
রামধনুর রঙে আঁকা আমার সুন্দরতম স্বপ্নগুলো
আমি ভবিষ্যতের নীলিমায় জোছনা করে পাঠাতে চাই।।
(2007)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৫