দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জাপানী বোমায় পার্ল হারবারের ভোরের প্রশান্তি ছিন্নভিন্ন হবার পর জাপানী সেনানায়ক বলেছিলো, "আমরা এইমাত্র একটি ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগিয়ে দিলাম..."
তুলনাটা কোনভাবেই ঠিক হয় না। প্রতিসম হয় না। কিন্তু তারপরেও কিছু জিনিষ থেকে যায় চোখের দৃষ্টি সীমানার সামান্য বাইরে। সেখানে অক্ষিগোলকের কার্যক্ষমতা শূন্য, যদিনা তাকে সেদিকে ঘুরানো হয়!
ওয়ামি। হানাদার পাক-বাহিনীর এদেশীয় দোসর, কুখ্যাত রাজাকার, আল-বদরের হাইকমান্ড কামারুজ্জামানের পুত্র। সামহোয়্যার, তার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে যার ঘনিষ্ঠতা বেশ ভালোই। সে ব্যানড হলো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত নীচু ভাষায় গালি দেওয়ার জন্য। যে কামারুজ্জামান এদেশের সন্তানদের হত্যা করেছে, তুলে দিয়েছে তার প্রভু হানাদার পাকি সৈন্যদের হাতে, তার ছেলে ওয়ামি'র কাছ থেকে এমন বক্তব্য আসটা কেবল সময়ের ব্যাপার ছিলো মাত্র। সেটা নিয়ে কথা বলছি না। আলোটা ফেলার চেষ্টা করছি অন্য একটা জায়গায়!
রাজাকারের পৃষ্ঠপোষক, রাজনৈতিক মোর্চা জামাতকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থেই কোলে তুলে নেয় আমাদের এদেশীয় মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো। খেয়াল করুন, রাজনৈতিক স্বার্থে, আরেকটু ছোট করে বললে, "স্বার্থে"।
মানুষ, আরেকটু প্রিসাইজলী বাংলাদেশের মানুষ শুধু রাজনৈতিক সচেতনই না বরং হৃদয়ে সেটা অনেকাংশে ধারণ এবং লালন ও করে। স্বার্থটা এখানে অনেক বড় একটা রোল প্লে করে সবার ক্ষেত্রেই। এইদিকটা বিবেচনা করেই একটা সকুতোভয় প্রশ্ন জেগে ওঠে মনে, "ওয়ামি কি তার নিজের নিকেই, সগর্বে আবার ফিরে আসবে এখানে!"
রাজাকার কামারুজ্জামান পুত্র ওয়ামি'র অন্যান্য আন্তর্জালিক কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু জানা দরকারী না হলেও কেবল এবং কেবলমাত্র সামহোয়্যারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা মাথায় রেখেই আশংকাটা হচ্ছে। একেবারে প্রথমেই উল্লিখিত সেনানায়কের উক্তিটি যেনো সামহোয়্যারের সঙ্গে ওয়ামি'র কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রযোজ্য না হয়।
ওয়ামিকে যেনো অন্য কোনো ভৌতিক নামেও সামহোয়্যারে দেখতে না হয়। তাহলে হয়তো অন্য সাধারণ ব্লগাররা বিরূপভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। কর্তৃপক্ষকে দেওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলি থেকে তখন প্রতিটা ফুল হয়তো এই সাধারণ ব্লগাররাই টেনে তুলে নেবে একে একে - এটা ধুসর গোধূলি'র একটা আশংকা মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:২১