আধো নারী আর আধো নর নিয়ে কবিতা লিখে বিদ্রোহী কবি যে কেবল সাম্যবাদীর স্পষ্ট নীতিই বুঝান নি আমরা তার প্রমাণ পাই এই দুই হাজার অষ্ট সনে এসে। অর্ধেক খামচা নারীচরিত্র, এক চিমটি সমান নরচরিত্র, কয়েক ছটাক ক্লীব আর বাদবাকিটুকু 'সুশীল' নামক খাচড়া চরিত্রের পাঁচড়ায় নিজেকে পঁচিয়ে যার আত্মপ্রকাশ সেই কলুর বলদ, হাত কচলানো কোনো পাবলিকের কথাও বুঝি বিদ্রোহী কবি (সালাম) মনের অজান্তে বর্ণন করে গেছেন।
বর্ণিত এই অধোঃশ্বর (নাকি মহেশ্বর!) কথার প্রস্ফুটনে সংখ্যাগুরু নারীচরিত্রের প্যানপ্যানানী ছাড়ান না দিতে পারলেও কীবোর্ডে মহাবীর আলেক্সান্ডার সাজার প্রয়াস দেখান চান্স পেলেই। খ্যাতির বিড়ম্বনা পড়া আছে বলেই বিশ্বাস করি, তথাপিও সস্তা খ্যাতিলভের আশাতীত প্রত্যাশা থেকে বের হতে পারেনা বোধকরি উল্লেখিত চরিত্র।
মিঠা পানির মাছের মতোই পুত্রশোক করে, মিঠা মিঠা কথায় জাউ জুড়িয়ে, এরে সাইজ করে, তারে গুঁতা মেরে, অমুকের আটাশ জেনারেশনের বংশপরিচয়ের ধোঁয়া তুলে, অশ্লীল উক্তিকারীতের তুলাধুনো করে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়! - তর্কের খাতিরে নিজে এমন এক কথা বলে যেটা শুনলে তার নিজের জন্মদাত্রীও শরমে আঁচলে মুখ লুকায়!
কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা হুজুরে করলে মোহাব্বত আর আমরা, ম্যাঙ্গো পিপোল সেটা করলে হয় চোট্টামী?
হায়রে কলুমরাশিদা, মানুষ আর হওয়া হইলো না। আজন্ম আচোদা সুশীলই রইয়া যাওয়া হইলো!