আমরা মজা করে বলি রাজনীতির ভিতর পলিটিক্স ঠুকে রাজনীতি নস্ট হয়ে গেছে। আসলেই তাই। এটা এতই নোংড়া হয়ে গেছে যে হারপিক দিয়েও পরিস্কার হবে না। যত দিন এসব থাকবে তত দিন আমাদের ভবিষ্যত নাই। মিথ্যা, সন্ত্রাসীপালন, চুরি এগুলোতো কমন আসেন আজ অন্য কিছু দেখি.......
এক জন নেতার সব চেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হচ্ছে তার দলেরই লোকজন। তাকে প্রতিপক্ষ দল থেকে যত বেশী সতর্ক থাকতে হয় তার চেয়েও বেশী সতর্ক থাকতে হয় নিজ দল থেকে। এদেশে সবাই নেতা হতে চায়। এজন্যই এক কমিটিতে এক জন সভাপতির সাথে একগাদা সহসভাপতি দেখা যায়।
সব চেয়ে বড় নেতা সে যে কোন মিটিংয়ের আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিটিং এ যায় এবং অনেক মিটিং সিটিং করে সেই সিদ্ধান্ত অন্যদের উপর চাপিয়ে মিটিং থেকে দাত বের করে বলে সর্ব সম্মিতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজের সমর্থকদের আগে বলে রাখতে হবে অন্য কেউ কোন মতামত দৃর ভাবে না উত্থাপন করতে পারে। এটা না পারলে সংঘর্ষ অনিবার্য। এ কারনেই মিটিংয়ের পর অনেক সময় মারামারি দেখা যায়।
গ্রুপিং একটা কমন ব্যাপার। যত নেতা তত গ্রুপ। প্রতিপক্ষ দলেও একই অবস্থা। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দলের শক্তিশালী গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করুন। এতে অনেক ফায়দা। অলিখিত একটা চুক্তি থাকবে। যে সরকারে থাকবে তারা অপরকে সেলটার দিবে। টেন্ডারেরও ভাগ পেতে পারেন।
আপনার নেতা যদি ভালো কাজ করতে বলে নিজেকে সামনে রেখে ঝাপিয়ে পড়ুন। যেন কাজটা আপনি করছেন। এতে নিজের এ্যাড ভালো হবে।
নেতা যদি খারাপ কাজ করতে বলে তাহলে দ্বিগুন উৎসহে ঝাপিয়ে পড়ুন কিন্তু পিছনে থেকে। তাহলে ঐ নেতার ১২টা বাজবে আপনার পথ পরিস্কার হবে।
ট্যাকা রাজনীতির সব চেয়ে বড় অস্ত্র। অনেকেই বলে রাজনীতি হচ্ছে বিনা পুজিতে ভালো ব্যাবসা। এটা ভুল টাকা লাগবেই। নিজের পরিচিতি, কর্মী পালন, বড় নেতাদের উপহার ... এসবে টাকা লাগবেই। তবে একবার ঠিক মত এক হাত মারতে পারলে ১৪ পুরুষ আরামে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
কিছু চামচা যোগার করুন যাদের বুদ্ধি কম কিন্তু গায়ের জোর বেশী। কি কামে লাগবে বুঝে নেন।
নিজেও চামচামি করতে শিখুন। নিজের নেতারে তেলে এমন ভাবে ভাসিয়ে দিন যেন তিনি এক ধাপ আগালে আপনিও এক ধাপ আগাবেন। তবে চান্স পেলে ল্যাং মারতে ভুলবেন না।
সর্বশেষে নেতা হন দেশকে ডুবান।




সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৯