"জমায়াতে ইসলাম" যার মূল নীতি হলো ধর্ম ব্যবসা। যারা ধর্মকে চরিত্রে লালন না করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। ধর্মকে পুজিঁ করে যাদের পথচলা। জামায়াতের নেতারা সবাই ছিলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের দালাল। রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটির সদস্য।
জামায়াত রাজনীতি করে ধর্মের দোহাই দিয়ে, কৌশল করে তাদের সাথে নিয়েছে কিছু ধর্মভীরু মানুষ। জামায়াতে ইসলাম বরাবরই কৌশলী, দ্বিমুখি চরিত্র। নানা ভাবে কৌশল করে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পাবার পরে স্বাধীনতার ৩৮বছর পেরিয়ে যাবার পরেও অতীতে তারা যে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্হান নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে,রাজাকার, আলবদর, আলশামস, গঠন করে মুক্তিকামী মানুষ গুলোর উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেই সব অপকর্মের কথা তারা আজও স্বীকার করেনি। কিছুদিন আগেও বিবৃতি দিয়েছে ৭১'এ কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, যেখানে ত্রিশলাখ প্রাণ শহীদ হয়েছে এটাও তারা মানতে নারাজ।
জামায়াতের এই সব কুকৃতির কথা বাঙ্গালীজাতি সবাই অবগত।
আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষ গুলো যখন সেইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে, সরকার বিচার পক্রিয়া শুরু করতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অংশ হিসেবে জাতিসংঘের অনুমোদন লাভ করেছে, বিচার পক্রিয়া শুরুর আনিষ্ঠানিকতা শুরু করা সময়ের ব্যাপার। ঠিক সেই মূহূর্তে ৭১' এর ঘাতক দালাল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কর্মসূচী সহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলোকে সাহায্য সহযোগীতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এটা তাদের কৌশল। ঠিক যেমন কিছু ধর্মভীরু মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করেছে ঠিক তেমনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সংবর্ধনা, সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে তাদের দলে নতুন একটি পক্ষকে সংযোজন করতে উদ্যোগী হয়েছে, টিকে থাকার জন্য। যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি, বিলম্বিত করার জন্য।
আমাদের উচিত জামায়াতের এই নতুন কৌশলকে বাস্তবায়ন করতে না দেয়া। সেক্ষত্রে সরকার সহ দেশের সকল জনগনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আসছে নতুন বছরে আসুন আমরা নতুন উদ্যোমে, অনেক বেশী মনোবল, শক্তি সন্চয় করে, ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষে সকল অশুভ, অপশক্তিকে পরাজিত করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতি ব্দ্ধ হই।