বয়স খুব একটা বেশি হবেনা সেদিন।এই ধরো ত্রিশ কিংবা এর আশে পাশে।দু চারটে চুলে পাক ধরবে আমার।কাজের চাপ,একাকিত্ব সব মিলিয়ে একটা ছাপ তো পড়েই।মনের সাথে লড়াই করে কাটানো গত দুটি বসন্তের সবটাই থাকবে তোমার চোখের নিচে পড়া কালিতে।তবু তোমায় দেখতে এতটুকু খারাপ লাগবেনা।বিধাতা এক অদ্ভুত মায়াময়তা দিয়ে পাঠিয়েছেন তোমায়।তোমার সে স্নিগ্ধতায় আমি যে কি পরিমাণ কেঁপে উঠবো আবার ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি বারে বারে।
সেদিন তোমার আমার আবার দেখা হবে।হয়ত তিন,পাঁচ,কিংবা সাত বছর পর।
তুমি পরবে গাঢ় নীল শিফনের শাড়ি।সাথে গলায় থাকবে মুক্তোর মালা।মুক্তোর রংগুলো কি হবে?সাদা না নীল?বেশ দোটানায় পড়বে।ভাববে আমাকে জিজ্ঞেস করলে কেমন হয়।তারপর নিজেই হেসে উঠবে।তোমার সবই যে আমার পছন্দ সেই বিশ্বাসের আনন্দে পৃথিবীর ভাগ্যবতীদের একজন মনে হবে নিজেকে।চুড়িগুলো নিয়ে ভাববে এই বয়সে চুড়ি পড়া মানায়?কত কি ভেবে হাত গলিয়ে চুড়িগুলো পরেই বেড়িয়ে পড়বে তুমি।ভাববে ইশ!কতনা দেরী হয়ে গেলো।
সেদিন তোমার আমার আবার দেখা হবে।পাঁচ,সাত কিংবা দশ বছর পর।
আমার গায়ে থাকবে তোমার প্রিয় সবুজ রঙের পাঞ্জাবী।আমার অর্ডার করা প্রথম কফিটা তোমার অপেক্ষায় ঠাণ্ডা হতে থাকবে।প্রতিটা চুমুকেই আমার মনে হতে থাকবে সময় এত দীর্ঘ হয় কেন?
আমরা দুজন সামনাসামনি বসে থাকব।কথার পাহাড়ের গা বেয়ে বইতে থাকবে অনুভূতির ঝর্ণাধারা।তারপর হঠাৎ নামবে স্থবিরতা,আনমনা দীর্ঘশ্বাসে আচ্ছিত হবো দুজন।নীরবতা ভেঙ্গে তুমি বলবে সময়গুলো ফিরে পাওয়া সম্ভব না আর তাইনা?আমি প্রবল বিশ্বাস নিয়ে বলব সেই দায়িত্বটুকু নাহয় আমিই নিলাম।পাশে থাকবে তো আমার?
আকাশে মেঘ জমবে।আমরা কফিশপ থেকে বেরিয়ে পড়ব।হাঁটতে থাকব পাশাপাশি।ঝিরঝির করে পড়া বৃষ্টির গতি বাড়তে থাকবে।তারপর,
তারপর সেই বৃষ্টিস্নাত বিকেলে আমাদের মনে পড়বে
মনে পড়বে প্রথম কাটানো সময়ের কথা
মনে পড়বে প্রথম স্পর্শে শিহরিত হবার কথা
আমরা সেই প্রথম অনুভূতির মত দুজন দুজনের হাত ধরে বলব
ভালোবাসি,ভালোবাসি।।