হাসান শুয়ে আছে চুপ করে।টেবিল ল্যাম্পের আলোয় ওর মুখ দেখা যাচ্ছে।আহারে।বড্ড মায়া লাগছে নিনিতার।অভিমান করে আছে হাসান।কখনোই বলেনা সে কথা।তবু বুঝে নিনিতা।বুঝবেই বা না কেন?এক বছরের সংসার ওদের।ভালোবাসার সংসার,বিশ্বাসের সংসার।তবু মান অভিমান রাগ এসব যে সংসারে রোজকার আহারের মতই।হতেই পারে।সেসব সময়ে হাসান চুপ করে থাকে।ঝগড়া করেনা কখনোই,কণ্ঠস্বর থাকে স্বাভাবিক,আগের মতই... বাকিটুকু পড়ুন

প্রি-ওয়েডিং,ওয়েডিং বা পোস্ট ওয়েডিং এর ছবিগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।কতসব সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো ফ্রেমে বন্দী হয়।সুন্দর লোকেশান,ডেকোরেশান আরো কত কি!তবে বলে কয়ে একটা দিনকে ঘিরে ভালোবাসার মুহূর্ত বন্দী করার মাঝে কতটা প্রাণ থাকে আমি জানিনা।সেসব সম্পর্কে এখানে বলছিনা।সেসব অন্য প্রসঙ্গ।আমি চিন্তা করি খরচের প্রসঙ্গটা।যে মেয়েটাকে সৃষ্টিকর্তা আমার সাথে জুড়ে... বাকিটুকু পড়ুন

গলির ভিড় বেড়েই চলেছে।আশে পাশের কোন স্কুল বা কলেজ ছুটি হয়েছে হয়ত।জহির ঘড়ির দিকে তাকালো।দশ মিনিটের উপর হয়ে গিয়েছে।কিছুতেই এখন আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।তবু ওর নড়তে ইচ্ছা করছে না।একদমই করছে না।বাড়িটি আর নেই।সেই বাড়িটি।যেই বাড়িতে প্রথম অরণীর সাথে দেখা হয়েছিল।বাড়িটির দোতলায় ছিল ওদের কোচিং।সেই কোচিংয়েই জহির অরণীর প্রেমে... বাকিটুকু পড়ুন

মীম।ইংরেজিতে যার বানান হয় meem.এই নামকে উল্টে লিখলেও একই থাকে।ব্যাপারটাকে বলা হয় palindrome.আচ্ছা এ রকম আর কোন নাম কি আছে যাকে উল্টে লিখলেও একই থাকে?গত দশ মিনিট ধরে আমি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।এতে অবশ্য লাভ কিছু হচ্ছেনা।হওয়ার কথাও না।এই মুহূর্তে আমি মীম নামের এক অতি রূপবতী তরুণীর সামনে বসে আছি।রূপবতী... বাকিটুকু পড়ুন

-পথপানে চাহিয়া সখার/নয়নে জমিলো জল/মনের ভাষা বুঝিয়া সখা/আসিবে কবে বল।

এ কথাগুলো শুনে কারো বিরক্ত হবার কথা না।তবে আমি হচ্ছি।সে বিরক্ত ভাব কাটানোর জন্য বাইরে তাকিয়ে আছি।রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম।গাড়িগুলো সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো।বৃষ্টি পড়ছে মুষল ধারে।উইপার গুলো একসাথে ওঠানামা করছে।খুব সুন্দর দৃশ্য।তবে আমার দৃষ্টি নীল রঙের একটা অ্যালিওন এর দিকে।একটা ফুটফুটে মানব... বাকিটুকু পড়ুন

রূপবতী কোন মেয়ের অপেক্ষা করার দৃশ্য একেবারে হৃদয়ে গিয়ে লাগে।তাও আবার এমন বৃষ্টির দিনে।মেয়েরা খুব গোছালো হয়।তবে এ মেয়েটা কেন ছাতা আনেনি জানেনা ছেলেটা।বৃষ্টির জল মেয়েটার গালে চুমু আঁকছে।কি সুন্দর দৃশ্য!দেখতে দেখতেই বাস চলে আসে।এই প্রথম বাসের খোঁজ পেয়ে বিরক্ত হয় ছেলেটা।

তাদের দুজনের বাস একই।গন্তব্য কিছুটা আগে পরে।প্রতিদিনই দেখা... বাকিটুকু পড়ুন

মেয়েটা দেশের বাইরে যাচ্ছে।আজ রাতেই ওর ফ্লাইট।চারদিকের অসংখ্য মানুষের সবাই আনন্দিত।সবাই একের পর এক শুভকামনা আর অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছে।জানানোরই কথা।নাইনটি পারসেন্ট স্কলারশিপে দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছে ও।কিন্তু এই প্রথমবার আমি খুশি হতে পারছিনা।

মেয়েটার সাথে আমার কথা হয়না।অনেকদিন হয়না,কয়েকবছর হয়না।দেখা হয়না আরও বেশি সময় ধরে।তবু মেয়েটা এ দেশেই ছিল।অন্য কোন এলাকাতে... বাকিটুকু পড়ুন

খুব ঘরকুনো আর অলস আমি।বাসায় বসে মাসের পর মাস কাটাতেও খুব একটা সমস্যা হয়না আমার।আসলে কোলাহল,হৈচৈ তেমন একটা ভালো লাগেনা।তবু মাঝেমধ্যে বের হই।যেদিন আকাশটা মেঘলা থাকে,তবে বৃষ্টি থাকেনা।যেদিন গোধূলি লগ্নে পুরো পশ্চিমটা রক্তিম হয়ে উঠে সেদিন।সবচেয়ে ভালো লাগে শীতের বিকেলে হাঁটতে।মৃদু আলো থাকে,তাপ থাকেনা।শীতল বাতাস নেই অথচ হিম হিম ভাব... বাকিটুকু পড়ুন

-পথপানে চাহিয়া সখার/নয়নে জমিলো জল/মনের ভাষা বুঝিয়া সখা/আসিবে কবে বল।

এ কথাগুলো শুনে কারো বিরক্ত হবার কথা না।তবে আমি হচ্ছি।সে বিরক্ত ভাব কাটানোর জন্য বাইরে তাকিয়ে আছি।রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম।গাড়িগুলো সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো।বৃষ্টি পড়ছে মুষল ধারে।উইপার গুলো একসাথে ওঠানামা করছে।খুব সুন্দর দৃশ্য।তবে আমার দৃষ্টি নীল রঙের একটা অ্যালিওন এর... বাকিটুকু পড়ুন

আজকের টেম্পারেচার অসম্ভব রকমের কম।সন্ধ্যা নাগাদ তুষারপাত শুরু হয় কিনা কে জানে।এই ঠাণ্ডার মাঝেও মেয়েটা কোল্ড কফি নিয়ে বসে আছে।গত সপ্তাহে যখন দেখা হয় তখনই ঠাণ্ডা লেগেছিল ওর।গলার স্বরের মিষ্টটা যায়নি তবে ভারী ছিল কিছুটা।পুরো সপ্তাহ জুড়ে নিজের যত্নআত্তি কিছু করেছে বলে মনে হয়না।বেশ খামখেয়ালি হয়ে উঠছে দিনে দিনে।কফির ব্যাপারটা... বাকিটুকু পড়ুন

সোফায় পা নামিয়ে বসে থাকাটা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর একটা।আমাকে সে কাজটাই করতে হচ্ছে গত বিশ মিনিট ধরে।মেয়েটার সাথে বলার মত তেমন কিছুই পাচ্ছিনা।এই মেয়েটার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।সব ঠিক থাকলে আগামী মাসে কবুল কবুল বলে আমাকেও কাজীদের ঐ টালি খাতায় সাইন করতে হবে।আজ কেন জানি ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে... বাকিটুকু পড়ুন

নীল আকাশ পূর্ণ হল
সাদা মেঘ আর রোদে
বেখেয়ালে হাঁটতে হাঁটতে
হারাই তোমার বোধে।

জমাট বাঁধা স্মৃতির দুপুর
পুড়ায় আমার মন
তুমি আমায় জড়িয়ে রাখা
ভাবনা প্রতিক্ষণ! বাকিটুকু পড়ুন

বয়স খুব একটা বেশি হবেনা সেদিন।এই ধরো ত্রিশ কিংবা এর আশে পাশে।দু চারটে চুলে পাক ধরবে আমার।কাজের চাপ,একাকিত্ব সব মিলিয়ে একটা ছাপ তো পড়েই।মনের সাথে লড়াই করে কাটানো গত দুটি বসন্তের সবটাই থাকবে তোমার চোখের নিচে পড়া কালিতে।তবু তোমায় দেখতে এতটুকু খারাপ লাগবেনা।বিধাতা এক অদ্ভুত মায়াময়তা দিয়ে পাঠিয়েছেন তোমায়।তোমার সে... বাকিটুকু পড়ুন

তোমার এক মুহূর্তের নীরবতা,
এক মুহূর্তের দৃষ্টির অগোচরতা
কি যে তীব্র যন্ত্রণায় নিঃশেষ করে আমায়!

তৃষিত কোন পাখির মত কিংবা গলাকাটা কোন প্রাণের মত
আমি ছটফট করতে থাকি।
আমার হৃদয়ের হাহাকার ভীষণ তড়পাতে তড়পাতে
একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

আমি নিথর নিস্তব্দতায় তোমার অপেক্ষা করি
আমার দু চোখ বুজে আসতে থাকে।
সেই তন্দ্রাচ্ছন্ন মুগ্ধতায় তোমায় দেখতে পাই... বাকিটুকু পড়ুন

অনুরাধা,
আমার কথা মনে আছে তোমার?রোগা পাতলা ছিপছিপে ধরনের সেই ছেলেটা।যে তোমার সাথে প্রথম কথা বলতে গিয়ে ভয়ে নীলাভ হয়ে গিয়েছিল,কথাগুলো বারবার জড়িয়ে যাচ্ছিল।সেদিন গলির মোড়ের দোকানে এসে পরপর তিন গ্লাস পানি খেয়েছিলাম।কিংবা সেই ছেলে যে অষ্টাদশ ছুঁই ছুঁই তোমাকে ভালোবাসি বলেছিল আঠারোটি প্রস্ফুটিত গোলাপে।সেই গোলাপের পাপড়িগুলি বড় যতনে ছড়িয়ে... বাকিটুকু পড়ুন