শোন নারী, জীবনের নকশী আঁচল,
আশ্বিনের সকালে আমি উদবাস্তু পথিক!
এমনি ছিলাম আমি চিরচেনা চাঁদটার সাথে,
যখন কুয়াশা তার হারিয়েছে দিক।
অশ্বত্থামার ঘোড়া নিয়ে বেঁচেছি নক্ষত্রের সাথে,
একরাশ ভালোবাসা নিয়ে বুকের ভিতর!
হয়তো পাওনি টের!
সাদা রাতে ঘোড়াদের চিঁহি চিঁহি ডাক,
হয়তো ঘুমের ঘোরে তোমাকে করেছে অবাক!
তাদের লাগাম হাতে আমি রাত্রির প্রহরী,
কখনো বোঝনি তুমি আমার প্রকৃতি!
মায়ার আলোর রেখা ছড়ায়েছ জেদে,
মারীচির শিকলটা পায়ে বাঁধে যদি!
আহা বোঝনি কখনো তুমি,
শিকল ছেড়াই ধর্ম আমার; আজন্ম নিয়তি!
মায়াবী বিম্বের বয়স হলো হাজার বছর,
আজো অভিমান চোখে নিয়ে তুমি বিম্ববতী!
তবু ক্ষমা করো নারী এ বেলাভূমিতে,
হয়তো স্বপ্নের দ্বীপে আজো পারিনি পৌছাতে!
বাণিজ্য বসতে আনা রত্নের জাহাজ,
চাঁদ সওদাগরের মতো ডুবে যায় বারবার,
কালীয় দহের স্রোতে!
কথা দিয়ে হয় নাই রাখা; নীল মেঘে লাল চাঁদ বাঁকা!
অদৃষ্ট আমাদের তাড়া করে বরফের শেষ সীমানায়,
তুষারের ফাঁকে নাছোড়বান্দা শৃগালের মতো!
তবুও অনন্তের শিকারী আমি ধ্রুবতারকারে ধরে,
চালাই ক্ষতবিক্ষত পা দুটি খুব জোরে!
যদিবা পৌছাই জীবনের শেষ বিন্দুরও কাছাকাছি,
ঘন বনানীর আবেগে মথিত হয়ে,
অরোরার আলোয়,
অন্তত একবার বলবোই ভালোবাসি!
খুব বেশি!