মেয়েটা চোখে দুঃখ পুষে রাখে,
তোমরা রাখো শখের হরিণ, বুলবুলি আর টিয়াটা!
মেয়েটা শুধু দুঃখ পোষে,
দেয়াল ভরা আলমারিতে,
সাজিয়ে রাখা নীল সোনেটা!
আকাশ খানিক মেঘলা হলে বাজে তারা,
ঝনঝনিয়ে!
এই শহরের আকাশ ভরা ধোয়ায় মাখা নীল,
আবছা জানালার ওপারে নগর এক আরশির!
মেয়েটা শুধু আয়না দেখে আবছা কাচে জল,
কাঁচের পিছে আরেক জগত,
খুব নাকি অদ্ভুত!
সেইখানেতে আরেকটা মেয়ের খুব গাড় চোখ,
অবিকল তারই মতোন!
সেই মেয়েটাও দুঃখ পোষে শীতের মতো মুখ!
কুয়াশা ঢাকা চুলের ফাঁকে,
তারই মতো চমকে কাঁদে!
কষ্টগুলো ঝুলিয়ে রাখে একই ঘরের কোণায়,
ভাংগা দেয়ালের তাকে তাকে!
দেখা হলো বলো তাকে,
আকাশ এখনো তাকিয়ে থাকে!
তার পোষা সব দুঃখরা রোজ হচ্ছে জমা,
খুব কাছের এক আরশির দেশে!
সেই মেয়েটা রূপার মতো,
নীল আয়নায় কাঁদে কতো!
ঘুমের ঘোরে তাকিয়ে দেখে যদি,
বুঝবে তখন পুরো নদীতে তারই চোখের জল,
আহা আয়নার অই মেয়েটাও,
তাকিয়ে এখনো; তার চোখ টলমল!