চাইলে তাকিয়ে থাকতেই পারো তুমি, দশকের পর দশক!
তোমার আবেগী চোখে আমার দৃষ্টিসীমা হবে নিষ্পলক।
তুমি চাইলে সুইস ঘড়ির অব্যর্থ কাঁটা, বুকে নিয়ে রেডিয়াম,
জ্বলে ক্ষয়ে যাবে আরো দুই শতাব্দী; দুলিয়ে অলস পেন্ডুলাম!
হাতে ধরা মুঠোফোন সামান্য নাড়িয়ে, চোখে রেখে চোখ,
কাটাতেই পারো তুমি শতকের পর শতক!
হিমবায়ু দেবে পাড়ি ক্রান্তীয়রেখা ছেড়ে নির্জন মহাদেশে,
ফুটে যাবে ফুল, লালের ঝলকে, চোখের চমকে, শিমুলের বনে!
মাটিতে গালিচা হবে আকাশের মত লাল; ফুলদের রক্তক্ষরণে,
সেখানে গল্পের ভ্রমনে, হাঁটতেই পারো তুমি দিনের পর দিন!
লোহিত ছটায় আনমনা হয়ে, ভুলে গেলে ক্যালেন্ডারের সীমা,
চোখে চোখ রেখে তাকাতেই পারো তুমি ঘন্টার পর ঘন্টা!
ভাঙ্গা ইটে ঢাকা ঘর ভেঙ্গে অঙ্কুরিত হয় উত্তর আধুনিক মন,
মাটির দেয়াল ধসে অট্টালিকারা বাড়ে, দুরারোগ্য অসুখ যেমন!
গড়ে উঠে ধুন্ধুমার ইট-কাঁচ-পাথরের স্তূপ, লোহার শিকল মুড়ে।
দাঁড়িয়ে কার্নিশে, বেপরোয়া আকাশে, ভাঙ্গা রেলিঙয়ে রেখে ভর,
অন্য জন্মে চেনা দৃষ্টির গভীরে, দেখা পেলে কাঙ্খিত আলোর,
সহস্র বছর তুমি কাটাতেই পারো, শুধু তার চোখে রেখে চোখ!