আমরা সবাই এখন একই সঙ্ঘের অধিবাসী,
এখন ঘরে রাখিনা আর রং-বেরঙের আরশি।
কদিন আগেও ছিলাম না কিন্তু এমন কিম্ভূত!
চেনা দুনিয়ায় আনন্দের ছিল বিচিত্র আড়ত।
গতরাতে ভাঙ্গলে পরে, সম্মোহনী ঘুম ভোরে,
চোখটা মেলেই দেখি কেমন বদলে গ্যাছে সব!
একরঙ্গা দালানগুলো, দাঁড়িয়ে আছে একই ঢঙ্গে,
সবগুলো চোখ একইরকম; বিরক্তি ঝরে পড়ে!
পুরো একদল যন্ত্রমানব প্যারেড করে এই শহরে।
সব ভুলেছি আমরা, জীবন এখন অন্য ধাঁচের,
সঙ্ঘ বাদে চিন্তা করা অসম্ভবেও সম্ভব নয়,
সঙ্ঘবাসী হলাম তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই।
দর্শন আর যাপিত জীবন চিরায়ত নয় এখন,
হিংস্রতাই প্রধান উপায় প্রাচীন সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার।
পাথর হাতে যেমন ছিল অরণ্যের আদিম বাঁদর,
করছি তার অনুকরণ; প্রতিটি ক্ষণে আদিম পণ!
প্রচন্ড হিংস্র হলেও, জীবন একঘেয়ে ভীষণ!
নীতি বিবেক জঙ্গলে নেই, আমাদেরো সময় কম,
পাল্টে গ্যাছে সভ্যতা, সেসব আর নেই প্রয়োজন।
ভালোবাসার কল্পতরু, আর উদ্বায়ী সব অনুভূতি,
সঙ্ঘে এসব নেই প্রয়োজন; স্বার্থ অর্থ মূল প্রকৃতি!
সব ভুলে তাই সবাই মিলে যোগ দিয়েছি সঙ্ঘে।
অবসরে সব মাননীয়রা; দিন কেটে যায় রঙ্গে,
রাজার পুতুল বানানো হয় তাদের মনোরঞ্জনে!
আমাদেরও আকাঙ্ক্ষা; চাই উচ্ছিষ্ট পুতুল রাজার,
নয় স্নেহ ,নয় ভালোবাসা উচ্ছিষ্ট চাই ঠিক এবার।
তাই যদি পাই, চাই না কিছু, জীবন হবে ধন্য,
আমরা হলাম সঙ্ঘবাসী; উৎকৃষ্ট বলে গণ্য!
সঙ্ঘধারার বাইরে গেলেই অধর্ম হয় তোমার আমার,
সঙ্ঘসীমার বাহিরে হাঁটাই নরকগামী পাপের নাম!
পালের ভেড়ার মতো সবাই সমস্বরে তোলে কোরাস-
সঙ্ঘ শ্রেষ্ঠ! সঙ্ঘ মহান! কেউ যেন তা না ভুলে আর!
তবুও সময় খারাপ হলে পাল্টি দেয়া যায় বারবার।
কুচকাওয়াজের তালে- সন্ধ্যাবেলা পৌঁছালে ঘর,
বাঁচার জন্য গোপনে খুঁজি; বাস্তুসাপের বর!