পর্দাটা টানলেই জানালার পৃথিবীতে,
ক্লান্ত চোখের ঘুমে তন্দ্রার আলো নামে।
স্যাঁতস্যাঁতে আকাশের ফাটল দেয়ালে,
সরীসৃপের মতো নগণ্য বাঁচার আশায়,
প্রতিক্ষণ খুজে যাই অদৃশ্য ফোঁকর।
পুরনো খামের ছকে নিজেকে লুকিয়ে,
আঁধারী আড়ালে ঢেকে তাকাই সঙ্কোচে,
ছায়ার নিসর্গে খুঁজি তাগিদ বাঁচার।
মুখোশটা পড়ে নিয়ে নির্ভুল কৌশলে,
এড়িয়ে শিকারি চোখ ব্যস্ত রাস্তায়,
গাঁ বাঁচিয়ে গলিপথে, তোমাদের আড়ালে,
এভাবেই প্রতিদিন আমাদের আসা যাওয়া।
সুরম্য বিপণির দেয়ালেরা ঝলসায়-
আয়নার ওপারেই আরেক নগর।
প্রতিফলনের ঘোরে জীবন্ত দুপুরে,
ঘোলাটে কাঁচের বুকে বিম্বের বিস্ময়।
যে আমিটা বেঁচে থাকি ভেতরের অন্দরে,
অসহ্য মুখোশের দুর্ভেদ আড়ালে-
সে গেলো কোথায়! সে গেলো কোথায়!