অভিনন্দন কাজী সালাহউদ্দীন
তৃতীয়বারের মতন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন কাজী সালাহউদ্দীন ও তার নেতৃত্বাধীন পরিষদকে।
এই ফাঁকে একটু বলে নেই আমি ছোটবেলা থেকে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের অন্ধ ভক্ত। একইসুত্রে বাংলাদেশ ফুটবলের অবিসংবাদিত সুপারস্টার ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দীনেরও অন্ধ ভক্ত। সালাহউদ্দীন ভাই শুধু ফুটবল মাঠের সুপারস্টার ছিলেন না, তিনি স্বাধীনতার আগে ও পরে তরুনদের মাঝে অনুকরনীয় হয়ে উঠেছিলেন তার মার্জিত ব্যবহার, স্ট্যাইলিস্ট চলাফেরা, পোষাক আশাক , চোস্ত শুদ্ধ ইংরেজী বলা ও রুচিবোধের জন্য।
১৯৮১ সালে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন প্রথম ১ টাকা টিকেটে ঢাকা স্টেডিয়ামে আবাহনীর খেলা দেখি। তখন থেকেই আমি আকাশী, হলুদ রংগের ১০ নাম্বার জার্সির সালাহউদ্দীন ভাইয়ের খেলার মুগ্ধ দর্শক ও ফ্যান।
১৯৮২ সালে যখন স্বৈরাচার এরশাদ অন্যায়ভাবে আবাহনীর চার ফুটবলার সালাহউদ্দীন, চুন্নু, আনোয়ার ও হেলালকে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যায়, সেদিন মনে পড়ে সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারের নামে সালাহউদ্দীন ভাইদের ৬ মাসের সাজা হলে সেদিন কেদে বুক ভাসিয়েছিলাম।কিশোর বয়েসে প্রিয়দলের প্রিয় খেলোয়াড়দের এ দুর্যোগের সময় অনেকের সাথে তাদের দেখতে মতিঝিল থানায় ছুটে গিয়েছিলাম।
সত্তুরের দশকে সালাহউদ্দিন ভাই একমাত্র সুপারস্টার যার ছবি দিয়ে ভিউকার্ড প্রকাশিত হয়। লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। বিশাল পোস্টার প্রকাশিত হয়। তিনি প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়ার পেশাদার ফুটবল লীগ খেলতে হংকং যান এবং কোরিয়ান্থান ফুটবল দলে দাপটের সাথে খেলেন। সেখানে তিনি ১০ ম্যাচে ১২ গোল করে শ্রেষ্ট গোলাদাতা হন। স্বাধীনতার পর ঢাকা লীগে ৫ বার শ্রেষ্ট গোলদাতা হন।
বাংলাদেশ ফুটবলের আধুনিক ও নান্দনিক ফুটবলের রুপকার তিনি। ফুটবলের বাইরে তিনি খুব ভাল ক্রিকেট খেলতেন। মনে পড়ে আজাদ বয়েজের পক্ষে আবাহনীর বিরুদ্ধে তার সেরা ইনিংস ছিল ৯৯ নট আঊট।
স্বাধীনবাংলা ফুটবলদলের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা খেলোয়ার সালাহউদ্দীন ভাইয়ের এ বিজয়ে আবারো অভিন্দন।আশা করি তার হাত ধরে এগিয়ে যাবে আমাদের ফুটবল।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১