জীবনে কখনো চুমু খায়নি- পৃথিবীতে এমন লোক সম্ভবত একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার কেউ স্বীকার করুক বা না করুক- ‘চুমু হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম সার্বজনীন ভাষা, কেননা সবাই এই একই ভাষায় প্রেম প্রকাশ করে।’ আর এ কারনেই হয়তো চুমুর আকর্ষণ সব সময়ই এতো চিরন্তণ। খ্রিস্টপূর্ব থেকে খ্রিস্টাব্দ- এমনকি আজ বিল গেটসের যুগেও চুমুর নি:শব্দ শব্দ মানুষকে আলোড়িত করে- আকর্ষিত করে সমানভাবে। এই আকর্ষণ আছে বলেই হয়তো চুম্বক ও চুম্বন শব্দ দুটি অণুপ্রসাগতভাবে এতো কাছাকাছি। চুম্বনের অণুপ্রাসণ হচ্ছে ‘ছোট্ট করে খাওয়া বা পাওয়া’। চুমু খাওয়ার মানেই টুক করে খানিকটা অণুপ্রাসণ। এই অণুপ্রাসণ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী নয়। চায়ের কাপে চুমুক দেয়াটা যেমন অণুপান, তেমনি চুমু খেলে পেট না ভরলেও মন ঠিকই ভরে। তাই পেটে ভাত থাকুক বা না থাকুক গাল এর নাগাল পেতে চায় স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। ছোট্ট শিশুদের ফোলা ফোলা তুলতুলে গাল দেখলেই চুমু খাওয়া কিংবা গাল টিপে দেবার প্রবণতা আসবেই। কিচ্ছু করার নেই। গাল এর নাগালের কথা বললাম। তাই বলে চুমু শুধু উঁয়া শব্দ করে ঠোঁট দিয়েই হবে তা কিন্তু নয়। চুমু গাল-এও হয়। তবে এটা না-গাল নয় বরং গাল এরই গালগল্প। তবে অবশ্যই সেটা গালে গালে। আবার ঠোঁটে গালে কিংবা গালে গালে না দিয়ে শীলতা বজায় রেখে অনেকে কপালেও চুমু খায়। কপাল আর কপোল। যার কপালে যা জোটে! অনেকে আবার নিজের হাত ছুঁয়ে তারপর চুমুর মুদ্রাভঙ্গি করে, যার ইংরেজী নাম ফাইং কিস। আজকাল ‘প্রত্যাশা’ কিংবা এই ধরনের শব্দের আগে একটি বিশেষণ খুব বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘গগণচুম্বী’ । মানে উচ্চতা বুঝাতে আকাশকে চুমু খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আবার চরণ চুমু খেয়ে কিংবা তীর্থস্থানে চুমু খেয়ে অনেকে ভক্তি নিবেদন করে। সে হিসেবে অনেক রকম চুমু হয়। আবার গাল কিংবা ঠোঁটের মতো অনেক জায়গাতেও চুমু হতে পারে। সেদিকে আর নাইবা গেলাম। তাই চুম্বকের মতো চুমুর দুর্ণিবার-অপ্রতিরোধ্য গুণটাকে অস্বীকারের কোন জো নেই। তারপরও চুমু নিয়ে সবার এতো নেগেটিভ ধারনা কেন?
১.
দশ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে তার মা। ডাক্তারের চেক আপ শেষ
হতেই ছেলের মা জিজ্ঞাসা করলেন- কেমন দেখলেন ডাক্তার সাহেব?
ডাক্তার: সবই ঠিক আছে। তবে ওর মধ্যে একটু ক্যালরির অভাব আছে।
ছেলের মা: কিসের অভাব?
ডাক্তার: ক্যালরির।
ছেলের মা: তাহলে কী করতে হবে ডাক্তার সাহেব?
ছেলে: চুমু খেতে হবে।
ছেলের কথা শুনে তার মা আর ডাক্তারের তো রীতিমতো চু চড়কগাছ! বলে কী ছেলেটা? ছেলেটাকে কেউ কিছু বলার আগেই আবারো মুখ খুলল সে। বলল,
-ডাক্তার আঙ্কেল, আমি অংকে খুব ভালো। আমাকে বলুন আমার কী পরিমাণ ক্যালরি লাগবে। আমি সে অনুযায়ী চুমুর পরিমাণ বের করে নেবো।
ছেলের মা: কী সব বলছো? তোমার মাথা ঠিক আছেতো?
ছেলে: ঠিক থাকবে না কেন? গতকাল রাতেইতো বাবা খালামণিকে চুমু খেয়ে বলেছে ১টা চুমু = ১৫০ ক্যালরি। বাবা কী তাহলে ভুল বলেছেন?
২.
স্ত্রীর কাছে স্বামীর পত্র-
“প্রিয় সুইট হার্ট, আমি এই মাসের বেতনের টাকা পাঠাতে পারছিনা, তাই তোমাকে ১০০ ‘চুমু’ পাঠালাম।
-ইতি তোমার স্বামী ।”
তার বউ কিছুদিন পর সে চিঠির উত্তর দিল এভাবে,
“প্রিয় জান,
তোমার পাঠানো চুমুগুলোর বিস্তারিত জানাচ্ছি।
১. দুধওয়ালা ২টা চুমুর বিনিময়ে এক মাসের জন্য দুধ দিতে রাজি হয়েছে।
২. বিদ্যুৎ বিলওয়ালা ৭টা চুমুর বিনিময়ে শান্ত হয়েছে।
৩. বাড়িওয়ালাকে প্রতিদিন দুইটা কিংবা তিনটা করে চুমু দিতে হচ্ছে।
৪. সুপার মার্কেটের মালিক শুধু চুমুতেই রাজি নয়, তাই ...(সেন্সর)
৫. আর অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৪০ টি চুমু
আমার জন্য কোন চিন্তা করো না। আরও কিছু চুমু এখনও বাকি আছে। আমি আশা করছি সেগুলো ব্যবহার করে এ মাস ভালোই চলতে পারব।”