[মেয়েদের কথা আর কী বলবো ভাই/ নিজেরাই জানে না তারা যে কী চায়
এ হাত ছেড়ে ও হাত ধরে/ সুযোগ মতো আঘাত করে
আকাশের রঙ নাকি মেয়েদের মন ভাই/ মেয়েদের কথা আর কী বলবো ভাই .......!!]
জনৈক দার্শনিক মেয়েদের নিয়ে সুদীর্ঘ ৩০ বছর গবেষণা করার পরও বলতে পারেননি নারীর মন আসলে কী চায়? এ কারনেই কী ওয়ান টাইম পৃথিবীতে লাইফ টাইম ভালোবাসা খুব একটা দেখা যায় না? সে প্রশ্নের জবাব বোধ করি বিজ্ঞানী নিউটনও দিতে পারবেন না। কারন, অনেক অনেক বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলেও নিউটন সাহেব নারী বিষয়ক কোন সূত্র বের করার দু:সাহস দেখাননি। এ যাবত নারী বিষয়ক কোন সূত্র আবিষ্কার না করার নেপথ্যে কোনো ভেজাল আছে কি-না জানা না গেলেও নারীদের সুবিধাবাদী মানসিকতা সর্বজনবিদিত। এক তরুণী তার বান্ধবীকে বলছে, বুঝলি, এতোদিন ধরে দেখলাম সমন্ত পুরুষমানুষই জানোয়ার বিশেষ । তখন বান্ধবী অবাক হয়ে বললো, সে-কী রে? তাহলে তুই পুরুষ মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়াস কেন? তখন বান্ধবী হেসে বললো- কেন, তুই জানিস না আমি জীবজন্তু ভীষণ ভালোবাসি! এই হচ্ছে মেয়েদের মন।
মেয়েদের মন নিয়ে এতোকিছু বলার একটা কারনতো অবশ্যই আছে। আর সেই কারনের অকারন অবশ্যই একটা মেয়ে! বিশ্বাস করুন, বিশ্বাসের মাথা ছুঁয়ে বলছি- মেয়েটাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। যাকে বলে ওয়ান টাইম পৃথিবীর লাইফ টাইম ভালোবাসা। কিন্তু তার সাথে আমার এখনও পরিচয়ই হয়নি! গন্তব্য পথে বাসে প্রায় নিয়মিত দেখা হয়। কথা হয় না, আবার হয়ও! চোখে চোখে কথা হয়। ব্যস, ফরমালিনমুক্ত অকালপক্ব মন হলে যা হয়! প্রেমে পরে গেলাম। কিন্তু আমি কী আর জানতাম একালের মেয়েরা একজনের কোলে বসে মোবাইলে আরেকজনকে বলে, ভার্সিটিতে জরুরি কাজে ব্যস্ত। সকালে একজন তো, বিকেলে আরেকজন। প্রেমের সংজ্ঞাটাই বদলে যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে আগামীতে নাকি বিয়ের কাবিননামার সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ফরম ফ্রি দেওয়া হবে। কিন্তু কাবিন নামা আর করা হলো না। অনেক খোঁজ লাগিয়ে ফলো করে মেয়েটার বাসা চিনলাম। আরো খোঁজ লাগিয়ে প্রেম হওয়ার আগেই ছ্যাঁকা খেলাম। এখন শুধু মনে পড়ে বাসে এক সাথে গা-ঘেঁষে বসা, নিশ্চুপ হাসাহাসি, ছাতা শেয়ার ওগুলো তাহলে কী?
এখনও নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকায় অফিসে আসি। ফিরেও যাই। কিন্তু আগের মতো আর টাইমিং মিলাই না। এমন কী ঐ বাস সার্ভিসেও ভ্রমণ করি না।