১৯৮২ সালে আমেরিকায় প্রকাশিত একটি বইয়ের নাম হচ্ছে The Secret: A Treasure Hunt। এই বইটিতে রয়েছে আলাদা আলাদা বারোটি পেইন্টিং ও বারোটি Verse বা শ্লোক। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বইতে এমন উল্লেখ করা আছে যে এই বারোটি পেইন্টিং এর সাথে বারোটি শ্লোক মিলালে বারোটি গুপ্তধন পাওয়া যাবে। গুপ্তধনগুলো পুরো আমেরিকাতে ছড়িয়ে আছে। যেটি করতে হবে, একটি পেইন্টিং এর সাথে একটি শ্লোক মিলাতে হবে। এতে নির্দিস্ট জায়গার ক্লু দেয়া থাকবে। দুয়ে দুয়ে চার মিলে গেলে খোঁড়াখুড়ি শুরু কর, গুপ্তধন নিয়ে বাড়ি চলে যাও। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, বইটি প্রকাশের পরে এই পয়ত্রিশ বছরে মাত্র দুটি ধাঁধাঁ সমাধান করা সত্যিই সম্ভব হয়েছে, এবং সেখান থেকে গুপ্তধনও উদ্ধার করা গেছে। ১৯৮৪ সালে প্রথমটা পাওয়া গেছে শিকাগোতে। ২য় টি ক্লিউল্যান্ডে ২০০৪ সালে। এখনো আরো দশটি গুপ্তধন পড়ে আছে আবিষ্কারের আশায়।
‘The Secret: A Treasure Hunt’ - Ebook link:
view this link
২. নরওয়ের হেসডালান লাইটস (Hessdalen Lights in Norway)
আজ পর্যন্ত যতগুলো ইউএফও দেখা পাওয়ার কথা নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাদের ভেতরে সবথেকে ভালভাবে ডকুমেন্ট করা হয়েছে যে ঘটনা, তাকে বলা হয় হেসডালান লাইটস। ঘটনাটি ঘটে সেন্ট্রাল নরওয়ের হেসডালান নামক এক গ্রামে। আপাতদৃষ্টিতে ভাসমান কিছু আলোর বল, বা কখনো কখনো আলোর ঝাড়ু টাইপের জিনিস কয়েকশত মানুষ দেখেছে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই এরকম আলো দেখতে পাওয়ার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১০ সালে। দর্শকের কাছে থেকে ধারণকৃত ভিডিও চাইলেই ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। এই লাইটের তত্ত্ব প্রমাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের থিওরীও দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে আছে আয়নাইজড ডাস্ট, কম্বাস্টেবল পার্টিকেল এবং এলিয়েন।
৩. শেলি মিসক্যাভেজের হারিয়ে যাওয়া
সায়েন্টোলজি লিডার ডেভিড মিসক্যাভেজের স্ত্রী শেলি মিসক্যাভেজ তার স্বামীর কল্যাণে প্রায় এক দশক ধরেই সায়েন্টোলজির ফার্স্ট লেডি ছিলেন। এমনকি সেই সময়ের মধ্যে তার স্বামী ডেভিড যতগুলো মিটিং এ অংশগ্রহণ করেছেন, যতগুলো ট্রিপে গিয়েছেন, যত জায়গায় ছবি তুলেছেন, তার সবগুলোতেই শেলিকে ডেভিডের পাশে দেখা গেছে। ২০০৭ সালের কোন এক সময় শেলি কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যেগুলোতে ডেভিডের মত ছিল না। কিন্তু কি ছিল সেই সিদ্ধান্ত, বা কেনই সে স্বামীর মতের বিরুদ্ধে ওইসব সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল, সায়েন্টোলজির পক্ষ থেকে তা গোপন করে ফেলা হয়। সেই বছরই অগাস্টে তার বাবার মৃত্যু ঘটে। কিন্তু তার বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। যদিও চার্চ অফ সায়েন্টোলজি থেকে জানানো হয়েছিল সে সায়েন্টোলজিতেই লোকচক্ষুর আড়ালে অতি-গোপন কিছু কাজ করছে। তার অবস্থান সম্পর্কে কাউকেই কিছু জানানো হয় নি। এমনকি তার পরিবার, কিংবা কাছের ফ্রেন্ডের কাছেও নয়। এ নিয়ে কোন ধরনের পুলিশ ফাইলও তখন রিপোর্ট করা হয় নি। তার কথা যখনই সায়েন্টোলজির কোন অনুষ্ঠানে যতবারই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, হয়ত তার প্রশ্ন উপেক্ষিত করা হয়, অথবা জাস্ট অ্যাভোয়েড করা হয়। অবশেষে ২০১৩ সালে তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের চাপে একটি পুলিশ ফাইল করা হয়েছিল, কিন্তু কিছুদিন পরেই সেটাকে ‘আনফাউন্ড’ লিখে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের পরে প্রায় নয় বছর ধরে শেলিকে আর কেউ দেখেনি। তবে কি শেলি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে?
৪. প্যাটোমস্কি ক্রেটার
১৯৪৯ সালে রাশিয়ান জিওলজিস্ট ভ্যাডিম কলপাকভ দক্ষিনপুর্ব সাইবেরিয়াতে একটা পরীক্ষা চালাতে গিয়ে এক অদ্ভুত জিনিসের সম্মুখীন হন। ২৫ তলা বিল্ডিং সমান উচু একটা ক্রেটার বা আগ্নে্য়গিরির জ্বালামুখ, যার ব্যাখ্যা আজও দেয়া সম্ভব হয় নি। একে ‘প্যাটোমস্কি ক্রেটার’ বা ‘কলপাকভ কোণ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এর বেস ডায়ামিটার প্রায় ১৬০ মিটার বা ৫২০ ফিট এবং উচ্চতা প্রায় ৪০ মিটার বা ১৩০ ফিট। এর মাঝখানে ১২ মিটার উচ্চতার একটা ঢিবিও আছে। এর আয়তন প্রায় আড়াই লক্ষ ঘনমিটার ও ওজন প্রায় দশ লক্ষ টন। যদিও এটাকে দেখে আগ্নেয়গিরির মত মনে হয়, অথচ বিগত কয়েক মিলিয়ন বছরের ইতিহাসে এখানে কোন আগ্নেয়গিরি ছিল বলে জানা যায় না। পরবর্তী রিসার্চে জানা যায় এটি আনুমানিক তিনশ বছর আগে গঠিত হয়েছে। তবে কিভাবে গঠিত হয়েছে এ নিয়ে অনেক ধরনের মতবাদ আছে। যেমনঃ মিডিয়া রাইড, ডিপ গ্যাস ব্রেক আউট, অবলিগেটরি এলিয়েন বা ক্র্যাশ ইউএফও থিওরি ইত্যাদি। এর মধ্যে সবথেকে প্রচলিত একটা মতবাদ হচ্ছে এখানে হয়ত কোন এলিয়েন শিপ ল্যান্ড করেছিল। কিন্তু সঠিক ব্যাখ্যা আজও কেউ দিতে পারেনি। তবে কি সত্যিই এখানে এলিয়েন শিপ ল্যান্ড করেছিল? নাকি এই সেই কমিক ক্যারেক্টার ক্যাপ্টেন আমেরিকার রাইড? কে বলতে পারে?
৫. দ্য ভয়নিস ম্যানুস্ক্রিপ্ট
ধারনা করা হয় এটি পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তৈরী করা হয়েছিল। ১৯১২ সালে উইলফ্রেড মাইকেল ভয়নিশ নামক একজন বই ব্যাবসায়ী এটি কিনে নেন। পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এটি কোথায় ছিল, বা কার কাছে ছিল তা জানা না গেলেও জনাব ভয়নিশের হাতে পড়ার পর আবার এটি মানুষের নজরে আসে। সেজন্যেই এই ম্যানুস্ক্রিপ্টের নাম রাখা হয়েছে ভয়নিশ ম্যানুস্ক্রিপ্ট। এই বইয়ের পুরোটাই একটা কোডেক্স ভাষায় লেখা, যার মানে কেউ এখনো বের করতে পারেনি। কয়েকটি পেইজ ছিড়ে গেলেও এখনো ২৪০ টি পেইজ অক্ষত অবস্থায় আছে। এই বইটিতে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশটির মত অক্ষর ব্যাবহার করে হাতে লেখা হয়েছে। কোড ব্রেক করতে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রতিটি লাইনেই একই অক্ষর বারবার ব্যাবহার করা হয়েছে। সেজন্য অনেকে এই বইটিকে ফালতু জিনিস বলেছেন। কিন্তু কেউ কেনই বা ২৪০ পেজের বেশি ফালতু জিনিস লিখে রাখবে, যার অনেকগুলো পৃষ্ঠাতেই বেশ সাজানো ও সুস্পষ্ট চিত্র ও গ্রাফিক্স দেয়া আছে? রহস্যজনক এই বইটির পাঠোদ্ধার এখনো কেউ করতে পারে নি। বইটি Yale University এর লাইব্রেরীতে সংগৃহীত করা আছে।
৬. ফ্ল্যানান আইল্যান্ড লাইটহাউজ রহস্য
১৯০০ সালে স্কটিওল্যান্ডের ছোট্ট এক দ্বীপ ফ্ল্যানান আইল্যান্ডে জীবিত প্রাণী বলতে শুধু ছিলেন তিন লাইটহাউজ কিপার থমাস মার্শাল, জেমস ডাকেট ও উইলিয়াম ম্যাকার্থার। ক্রিসমাসের পরের দিনের দিন একটা সাপ্লাই জাহাজ দ্বীপে ভিড়লে ডকে কাউকে ডিউটিতে দেখতে পায় না। জাহাজ থেকে সাইরেন, সংকেতমুলক গানশট ইত্যাদি করার পরেও যখন কাউকে দেখতে পাওয়া গেল না, তখন জাহাজের লোকেরা তাদের সন্ধানে বের হলেন। লাইটহাউজের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় তারা খেয়াল করলেন, হল থেকে তিনটি ওয়াটারপ্রুফ জ্যাকেটের দুইটি মিসিং। কিচেনে খাবারের অংশ ও একতা চেয়ার এমনভাবে দেখলেন যেন কেউ তাড়াহুড়ায় অর্ধেক খেয়েই উঠে চলে গেছে। কিন্তু লাইটহাউজ কিপারদের পুরো দ্বীপের কোথাও খুজে পাওয়া যায় নি। পরবর্তী ইনভেস্টিগেশনে লগবুকে শেষের এন্ট্রিগুলো পাওয়া যায়, যা ছিল এক কথায় অবিশ্বাস্য। ১২ই ডিসেম্বরে মার্শাল লগবুকে লিখেছিলেন, ‘… severe winds the likes of which I have never seen before in twenty years.’। আরো লেখা ছিল, ‘James have been very quiet.’। জেমস ছিল তাদের প্রিন্সিপ্যাল কিপার। এছাড়াও লেখা ছিল, ‘William have been crying.’ যেটা উইলিয়াম ম্যাকার্থারের চরিত্রের সাথে যায় না। কেননা, উইলিয়াম ছিল একজন মেরিনম্যান ও দেশে দৃঢচিত্তের মানুষ হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তার। তবে কেন সে একটা ঝড়ের ব্যাপারে কাদছিল? ১৩ই ডিসেম্বরের লগ এন্ট্রিতেও লেখা ছিল ঝড় তখনও চলছে। এবং তারা সবাই লাইটহাউজের ভেতরে বসে প্রার্থনা করছে। কিন্তু কেন একটা ব্র্যান্ডনিউ লাইটহাউজের ভেতরে থাকা মানুষেরা একটা ঝড় থামার ব্যাপারে প্রার্থনা করবে, যখন তারা জানেই যে লাইটহাউজ বানানোই হয় এরকম ঝড়ের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকার জন্য। আর তার ভেতরে তাদের নিরাপদেই থাকার কথা। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ওই এলাকায় কোন আবহাওয়ায় কোন ঝড়ের রিপোর্ট পাওয়া যায় নি। শেষ লগ এন্ট্রি ছিল ১৫ই ডিসেম্বরে, যেখানে লেখা ছিল, ‘Storm ended, sea calm. God is over all.’ এরপর তাদের আর কেউ খুঁজে পায় নি।
৭. অজ্ঞাতনামা নারী
১৯৭০ সালে নরওয়ের ইস্ট ড্যালান ভ্যালির কাছে একদল পর্বতারোহী একটা নগ্ন মহিলার মৃতদেহ আবিষ্কার করে। মহিলাটির মৃতদেহের পাশে অনেক ঘুমের ট্যাবলেট, প্রায় সম্পুর্ণভাবে পুড়ে যাওয়া পাসপোর্ট ও কয়েক বোতল মদ পড়ে ছিল। কোন এক কারনে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একটা স্টেশনে পড়ে থাকা কয়েকটা স্যুটকেস উদ্ধার করা হয়, যা ছিল ওই নারীর। স্যুটকেসে থাকা সমস্ত পোশাকের লেভেল আগেই তুলে ফেলা হয়েছিল। সেখানে আরো ৫০০ জার্মান মার্কস ও একটা কোডেক্স ডায়রী উদ্ধার করা হয়েছিল। আরো ইনভেস্টিগেশনের পরে জানা যায়, ওই নারী পুরো ইউরোপেই ভিন্ন ভিন্ন নামে ও ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় ভ্রমন করছিল। সে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থানকালে ভিন্ন ভিন্ন উইগ বা নকল চুল পড়ত ও ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথাও বলতে পারত। তার পরিচয় জানা যায় নি বটে, তবে ধারনা করা হয় সে হয়ত কোন এক আন্ডারকভার স্পাই।
৮. UVB-76
UVB-76 এর আরেক নাম ‘দ্য বাজার’। এটা হচ্ছে একটা শর্টওয়েভ রেডিও স্টেশন থেকে ছাড়া শর্টওয়েভ মনোটোনাস শব্দ, যেটা মিনিটে প্রায় ২৫ বার করে ২৪ ঘন্টা বাজত। ১৯৮২ সালে প্রথম আবিস্কারের পরে এটা মাঝেমাঝে শুধুমাত্র কয়েক মিনিট রাশিয়ান কোডেড ভয়েজ ট্রান্সমিশনে ইন্টারাপ্ট হওয়া ছাড়া প্রায় ত্রিশ বছর ধরে সারা দিনই বাজত। এছাড়াও মাঝে মাঝে সামান্য কিছু রাশিয়ান ভাষায় কিছু আলাপচারিতা শোনা যেত বটে, তবে তা ছিল খুব কালেভদ্রে। যদিও এর উৎস রাশিয়াতে সনাক্ত করা হয়েছিল বটে, কিন্তু এর আসল উদ্দেশ্য কি ছিল তা আজও অজানা। যদিও ধারণা করা হয় গোপন কোন মিলিটারি কাজে এটা ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, যে এধরনের শব্দ শর্টওয়েভে রেডিও করতে অনেক শক্তি ব্যায় হয়, যার খরচ নেহাৎ কম নয়। তবে কি ছিল এমন গুরুত্বপুর্ণ জিনিস, যার জন্য এই শব্দ এতই দরকারী ছিল? বা এতো ইনভেস্টমেন্টই করা হয়েছিল?
৯. সিপিআর ডামির চেহারা
১৮৮০ সালে প্যারিসে নদীতে ভেসে যাওয়া এক মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি দেখার পরে খুব দ্রুত মৃতদেহ পানি থেকে উত্তোলন করে ও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কোন এক অজানা কারনে তার চেহারাটির একটা প্লাসিটিক ডামি তৈরী করেছিলেন ফরেনসিকের একজন। একজন দোকানদার সেটি দেখতে পেয়ে কিনে নেন, ও পরবর্তীতে অজানা সেই মেয়েটির চেহারাকেই শত শত পুতুলের মুখের আকৃতি দিয়ে প্রোডাকশন করেন। নতুন চেহারার এই পুতুল সে সময়ে ইউরোপে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ঠিক সেসময়েই ওই একই চেহারার মমি দিয়েই তৈরী করা হয় সিপিআর ডামি। তাহলে? যখনই আপনি কোন সিপিআর ট্রেনিং নিয়েছেন, আপনি কার মুখে ফুঁ দিয়েছেন আন্দাজ করেন তো? ১৩০ বছর পূর্বে মারা যাওয়া একজন তরুনীর। ইন্টারেস্টিং এনাফ? তবে এটুকু জানিয়ে রাখি, যখন সে মারা যায় তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছরের মত। মৃত্যুর এতো বছর পর্যন্তও তার কোন ঠিকানা পাওয়া যায় নি।
১০. 3301
২০১২ সাল থেকে ইন্টারনেটে একটা জটিল অনলাইন পাজল গেম চালু হয় যা প্রত্যেক বছর জানুয়ারিতে চলতে থাকে। যারা এই গেমটি ইন্টারনেটে ছেড়েছিল তারা নিজেদের পরিচয় দেয় 3301 হিসেবে। পাজলে থাকে বিভিন্ন ক্রিপ্টোগ্রাফি, ম্যাথামেটিক্স, লিটারেচার, হিডেন ম্যাসেজ, ডেটা সিকিউরিটি এমনকি ফিলোসফিও। ফিজিক্যাল ক্লু বলতে যা বের করা গেছে তা হচ্ছে এই গেমটি পরিচালনা করা হয় পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকেঃ ইউএস, পোল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও কোরিয়া। 3301 গেমটি ক্লেইম করে যে তারা ইনটেলিজেন্ট লোক খুঁজছে, কিন্তু সিআইএ, এনএসএ সহ বিশ্বের কোন দেশের ইনটেলিজেন্ট সংস্থাই এদের মনেটাইজেশন করেছে বলে সামনে আসে নি। এরা সাধারনত অ্যানোনিমাস কোন টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই গেম এর ঘোষণা দেয়।
====================================================================
[সংগৃহীত]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫