১|
বল্টু এফএম রেডিও স্টেশনে কল করল:
"হ্যালো, এটা কী এফএম ৯৭.৫ ??"
F.M : জি, বলুন।
.
.
বল্টু : আমার কথা কী পুরা শহরে শোনা যাচ্ছে ?
.
.
F.M : হ্যাঁ, সবাই শুনতে পাচ্ছে বলুন।
.
.
বল্টু : তারমানে আমার বোন যে রেডিও শুনছে, সেও শুনতে পাচ্ছে ?
.
.
F.M : (রাগতস্বরে) আরে বেকুব হ্যাঁ।
.
.
.
.
.
.
বল্টু : হ্যালো পিংকি, যদি আমার কথা শুনতে পাস তাহলে জলদি পানির মোটর চালু কর।
আমি টয়লেটে বইসা আছি আর পানি শেষ। তোর নাম্বারটাও বন্ধ। জলদি কর...... !
===========================
২|
বল্টু ব্যাংকে গিয়ে এক
মহিলা কর্মকর্তীকে
বলল,
↓
বল্টু : এই শালী,
আমি Account খুলুম। ৷
মহিলা কর্মকর্তী :
দেখুন,
ভদ্রভাবে কথা বলুন৷।
বল্টু : তোর ভদ্রতার গুল্লি মারি !
Account খুল জলদি ৷
↓ মহিলা কর্মকর্তী
ম্যানেজারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করল।
↓
ম্যানেজার : কি ব্যাপার,
আপনি এত অভদ্র আচরণ করছেন কেন ?
বল্টু : অভদ্র আচরণের খেতায় আগুন
শালা !! আমি লটারীতে ১০ কোটি টাকা পাইছি ৷
Account খুলব কেমনে হেইডা ক !
↓
ম্যানেজার : আরে দুলাভাই
আপনি এই হারামজাদীর সাথে কিসের কথা কন ?
দুলাভাই আপনি আমার
সাথে আসেন...
===========================
৩|
একজন ডাক্তার চেম্বার খুলেছে।
.
বাইরে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে
"যেকোন রোগের ফি ৩০০টাকা। যদি রোগ ভাল না হয়, তবে ১,০০০ টাকা ফেরত পাবেন।"
তো বলটু এটা দেখে ভাবলো, ডাক্তারকে বাঁশ দিয়ে ১ হাজার টাকা কামিয়ে নেই।।
ধান্দাবাজ বলটু ডাক্তারের চেম্বারে যেয়ে বললো, ডাক্তার আমি আমার জিহ্ববায় কোন টেস্ট পাই না!!
ডাক্তার তার এসিস্টেন্ট কে বললেন,
২২ নাম্বার বোতল থেকে কয়েক ফোটা ওষুধ বলটুর জিহ্ববায় দিতে।
এসিস্টেন্ট সেটাই করলো।
বলটু তো ইয়াক ইয়াক করে বলে,
এটা তো প্রসাব!!
ডাক্তার হেসে বললেন, এইতো আপনার মুখের স্বাদ ফিরে এসেছে। এবার ৩০০ টাকা দেন।
কিছুদিন পর
বলটু আবার ফন্দি আটলো, কিভাবে আগের ৩০০ টাকা উসুল করে ডাক্তারকে বাঁশ দেওয়া যায়।
এবার চেম্বারে যেয়ে বলে, ডাক্তার, আমার মেমরি লস হইছে। কিছু মনে রাখতে পারি না।
ডাক্তার আবারো এসিস্টেন্ট কে বললেন, ২২ নম্বর বোতল থেকে এক চামচ ওষুধ উনাকে খাইয়ে দিতে।
এটা শুনেই বলটু লাফ দিয়ে উঠে বলে, ২২ নম্বরে তো প্রসাব!!
ডাক্তার এবারো হেসে বলেন, জি। আপনার স্মৃতি ফেরত এসেছে।
৩০০ টাকা দেন।
===========================
৪|
করিম মিয়ার মুলার ক্ষেত। পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষিবিশেষজ্ঞের কাছে।
করিম মিয়াঃ ডাক্তারসাব, আমার মুলার ক্ষেততো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কি করি?
কৃষি বিশেষজ্ঞঃ আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে নুন ছিটিয়ে দিন।
করিম মিয়াঃ আহা! কি পরামর্শ? নুনছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলেতো কথাই নেই।
===========================
৫|
এক দোকানদার তার কর্মচারীকে বলছে, "কোন ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবি না। যেমন কেউ ডেটল সাবান নিতে আসলে না থাকলে স্যাভলন সাবান ধরিয়ে দিবি" একথা বলে সে একটা কাজে গেল।
এরপর এক বয়স্ক ক্রেতা দোকানে এসে কর্মচারীকে বলল, "বাবু, টয়লেট টিসু্ আছে।"
ছেলেটি বলল, "টয়লেট টিসু নাই। তবে সিরিস কাগজ আছে। আইজকা সেইটা দিয়া কাজ চালান। কাইলকা টিসু পেপার পাইবেন।"
===========================
৬|
চার জন লোক একসাথে আগুনের পাশে গোল হয়ে বসে আলোচনা করছে, সবচেয়ে দ্রুত কোন জিনিস।
প্রথমজন বলছে, "চিন্তা , বুঝলে? হাতে কাঁটার খোঁচা খেলে, কিংবা তামাকের ছ্যাঁকা খেলে কী হয়? সেটা চিন্তা হয়ে সাথে সাথে মাথায় ঘা দ্যায়! "
দ্বিতীয়জন বলছে, "আরে না। চোখের পাতা ফেলা হচ্ছে সবচে দ্রুত। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আবার সব আগের মতো দেখা যায়।"
তৃতীয়জন বলছে, "উঁহু, আলো। দ্যাখো না, সুইচ টিপতেই ঘর থেকে কিভাবে অন্ধকার সরে যায়?"
চতুর্থজন বলছে, " সবচে দ্রুত হচ্ছে ডায়রিয়া।"
বাকিরা ঘাবড়ে গেলো, "কিভাবে, কিভাবে?"
"গেলোবার নয়াখালিতে গিয়ে হোটেলে, ওদের তরকারি খেয়েছিলাম, বুঝলে? ব্যাটারা এতো ঝাল খায়! রাতের বেলা হোটেলের বিছানায় শুয়ে আছি, হঠাৎ পেটটা কেমন যেন করে উঠলো। তারপর আমি কোন চিন্তাও করতে পারলাম না, চোখের পাতিও ফেলতে পারলাম না, এমনকি ঘরের সুইচও টিপতে পারলাম না, তার আগেই ..........."
===========================
৭|
বাচ্চাদের স্কুলে ইংরেজিটা নতুন পড়ানো শুরু হয়েছে।
বল্টু ক্লাসের দরজায় দাঁড়িয়ে বললো, "জুন আই কাম ইন স্যার?"
স্যার একটু ভ্যাবাচাকা খেয়ে বললেন, "এই নতুন ইংরেজি কোত্থেকে আমদানি করলে?"
বল্টু বললো, "কেনো স্যার, আপনিই তো বলতে বলেছিলেন!"
স্যার, "আমি? আমি তো মে আই কাম ইন স্যার বলতে বলেছিলাম।"
বল্টু, "স্যার, ওটাতো আপনি গত মাসে বলেছিলেন। মে মাস তো শেষ। আজ থেকে তো জুন মাস শুরু।"
স্যার অজ্ঞান!
===========================
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:১৮