রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুন্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সম্প্রদায়, প্রান্তিক গোষ্ঠী ও পেশার জ্ঞানীগুণী ও মেধাবী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আমাদের জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। ‘রেফারেন্ডাম’ বা গণভোট হচ্ছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সম্মতি গ্রহণের পন্থা। এটা নাগরিকদের ইচ্ছা ও অভিপ্রায় প্রকাশের অধিকার। বর্তমান সরকার মুখে জনগণের কথা বললেও সংবিধান থেকে গণভোটের বিধান বাতিল করে জনগণের সেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা সংবিধানে শহীদ জিয়াউর রহমান প্রবর্তিত গণভোটের ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো।
বিএনপি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী। সেই লক্ষ্যে সকল স্তরে ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা সুচিহ্নিত করে সুশাসনের সহায়ক পরিবেশকে কাঙ্খিত মানে উন্নীত করা হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন, দক্ষ সেবা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আধুনিক, যুযোপযোগী, কার্যকর ও দক্ষ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
‘স্থানীয় নেতৃত্বেই টেকসই সমাধান সম্ভব’ এ নীতির ভিত্তিতে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে ক্ষমতায়িত করা হবে। ক্ষমতা ও উন্নয়নের ভরকেন্দ্র হবে গ্রামমুখী।
স্থানীয় সরকারের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতা এবং বৈষম্য নিরসনে জন্য জাতীয় বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ করা হবে। আইন দ্বারা গঠিত একটি স্বাধীন কমিশন সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বরাদ্দকৃত অর্থ বন্টনের ব্যবস্থা করবে।
পেশাভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা গঠন, ক্ষমতা ও প্রশাসনের বি-কেন্দ্রীকরণ , স্থানীয় সরকার গঠনের এই ঐতিহাসিক ঘোষণাকে স্বাগত জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১০