somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ক্যাপ্টেন জুলিয়াস
আমি তাদের দলের যারা হাজার বার "আমি অমুক, আমি তমুক" বলে চিৎকার করলেও কেউ চিনবেনা, কেউ হয়তো চিনে ফেললেও একবার তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিজের মত ব্যাস্ত হয়ে পড়বে। ব্যাস্ত নগরীর মাঝে পিঁপড়ার মত ক্ষুদ্র যে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায়, আমি তাদের একজন।

ধর্ম ও জাতীয় চেতনার দন্ধ!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমত "জাতীয়তাবাদ" আর "দেশপ্রেম" দুটি আলাদা
টার্ম, আলাদা ব্যাখ্যা। দ্বিতীয়ত "জাতীয়তাবাদ" আর
"দেশপ্রেম"সহ দেশকেন্দ্রীক চিন্তা চেতনার সাথে কেন
জানি "ধর্মীয় অনুভূতি", রীতিনীতি, চিন্তা চেতনার
একটা বিভেদ দেয়াল তৈরী হচ্ছে। এই দেয়ালের সাথে
দুরত্ব তৈরি হয়ে আমাদের চিন্তাশক্তির মাঝে একটা
বিস্তর ফারাক তৈরী হচ্ছে, ধীরে ধীরে উদ্ভব ঘটছে দুই
ক্যাটাগরির মানুষের । একদল দেশকে বিলং করে তো
আরেকদল ধর্মকে। ধর্ম আর দেশের এই দান্ধিক সম্পর্কের
টনাপোড়নে একইসাথে দেশপ্রেমিক এবং ধর্মপ্রান
মানুষেরা পড়ে যাচ্ছেন দোটানায়।

স্যেকুলারিজম আর ধর্মের লড়াই আজকের না, বহু
আগের। সেই মধ্যযুগীয় সময়ে যখন ধর্মীয় রীতিনিতিগুলো,
আচার- আচরনগুলো প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে, তখন
ধর্মের সাথে স্যেকুলারিজমের অলিখিত এক পরাজয় ঘটে।
বহুযুগ দাপটের সাথে ধর্মীয় চিন্তা চেতনার ডমিনিটেড রূপ
দেখা যায়। শিল্প, সাহিত্য আর বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার
সাথে সাথে স্যেকুলার চিন্তার অভাবনীয় জোয়ার দেখা
শুরু হয়, একই সাথে ধীরে ধীরে এই ধর্মীয় চিন্তা চেতনা
স্যেকুলার চিন্তা চেতনার কাছে হারতে শুরু করে।

পলিটিকস সবসময়ই মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে
বহু কাজ সেরে নেয়। পাওয়ার গেইনের টুল হিসেবে
এতদিন যে আবেগ ধর্ম দিয়ে ছিল, তা এখন জাতীয়তাবাদ,
দেশীয় চেতনা, দেশপ্রেমের আবেগের। ধর্ম দিয়ে একটা সময়
দুটি দেশ বিভক্ত হয়ে যেত, আর এখন জাতীয়বাদের কথা
বলে ব্যবসায়ীরা বিশ্ব রাজনীতির পটভুমিতে চলে আসে।
জাতীয়বাদের চেতনা এই উপমহাদেশে খুব ভাল জায়গায়
পৌছানোর আগেই জার্মানিরা আয়ত্বে নিয়ে আসে। সেই
আগে থেকেই তাদের শিল্প সাহিত্যের বিকাশ ঘটতে থাকে,
ফলে জাতীয়তাবোধের ট্যুল তারা আগেই ধারন করে। যদিও
তা জেনারালাইজড করে বলা যাবেনা, তবুও এই ট্যুলকে
দিয়েই বিশাল এক মহাপ্রলয় ঘটে বিশ্বে।

যেই ট্রেন্ডে এখন বাংলাদেশ চলছে তাতে প্রগতিশীল হতে
হলে আমাদের স্যেকুলার হতে হয়, আমাদের ইনার মাইন্ডে
ধর্মীয় বীজকে উপড়ে ফেলতে হয়, আমরা ধর্ম নয় দেশকে
বিলং করি আগে। আর ঠিক একই ভাবে ধর্মীয় চিন্তা
চেতনার মানুষগুলো জাতীয় চিন্তা চেতনাকে উপড়ে
ফেলে দিয়ে, দেশের সংস্কৃতি, জাতীয়তাবোধকে তুচ্ছ
ভেবে ধর্মকে বিলং করি আগে। ফলে দুভাগে বিভক্ত এই
জাতি সমাজ একই দেশে থেকেও, একই ধর্মীয় রীতিনীতি
মেনে চলেও একই চিন্তা চেতনার হয়ে উঠতে পারিনি।
সেই বহুকালের পুরনো দন্ধে বিভক্তিতে পড়ে আমাদের
মাঝে দেয়াল তৈরী হচ্ছে। যার উদাহারন আমাদের
চায়ের কাপের আড্ডায় যেখানে আমরা "মোল্লা", "মুন্সী",
ইত্যাদি শব্দগুলো কেন জানি খুব একটা ভাল শুনা যায়
এমন "টোন"এ বলিনা। আবার অন্যদিকে দেশের জাতীয়
দিবসগুলো, শহীদদের স্মরনে ফুল, ভাস্কর, আমাদের
নববর্ষ উদযাপন ইত্যাদি সবকিছুকে বিদআতি, নাপাকী,
হারাম বলে ফেলি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর থেকে আমরা আরো বিপাকে!
"রাজাকার" আর "নাস্তিক" শব্দদুটির বহুল ব্যবহার আর
প্রচলনের মাঝে পিষ্ঠ হয়ে আমাদের মন খুলে কথা বলার
পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা প্রচন্ড এক্সট্রিম। মাঝামাঝি
কোন জায়গায় থাকা যায় না। ফলে এই দান্ধিক অবস্থা
আরো তীব্র হয়ে উঠছে। এর থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা।
আমরা প্রচন্ড সংকটে আছি। ভয়াবহ রকমের সংকট!
ভ্যাপসা গরমের অনুভূতির মত সংকট!
এই সংকটের মুক্তি কোথায়??


(ভুল হলে ক্ষমা করবেন। কমেন্ট বক্স খোলা রয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৯
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×