যতক্ষন না পর্যন্ত আমাদের সিনেমাগুলোতে নারীর
সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ "ইজ্জত" বলা বন্ধ হবেনা,
"সম্ভ্রম" হারালেই নারী সব হারিয়ে ফেলেছে এটি
আমাদের মাথা থেকে বের হবেনা, বিয়ের পর নারী
তার স্বামীকে আর কি "দিবে", অর্থাৎ সেক্স নামক
বায়োলজিক্যাল একটা জিনিস পুরষের জন্য "নেয়া"
আর নারীর জন্য "দেয়া" এই ধরনের কনসেপ্ট এই
সমাজ থেকে দুর হবেনা ততদিন পর্যন্ত আপনি
আমি কিংবা যে কেউ যতই "তনু হত্যার বিচার
চাই" বলি না কেন, সমাজের খুব বড় একটি অংশ
তনুদের শরীর, জামা কাপড়, পর্দা, তারা হোলিতে
যায়ে নাচে কিনা এই খবর পর্যবেক্ষনে ব্যাস্ত থাকবে।
সমাজ আমাদের শিখাবে "চিনি থাকলে পিপড়া
তো বসবেই"। সমাজের পুরুষেরা পিঁপড়া, নারীরা
চিনি। আমরা ধরেই নিই যে হোলিতে যেয়ে নাচা
মেয়েরা রেপ হবার দাবীদার, অথচ কুকর্মটি ছেলেই
করেছে। সমাজ আমাকে শিখায় "ইজ্জত" শুধু
নারীরই যায়, পুরুষের ইজ্জত নেই। বেইজ্জত।
ইনিয়ে বিনিয়ে আমরা কালচারের কথা বলি,
পোষাকের কথা বলি কিন্তু প্রকৃত দোষীর কথা
বলিনা। প্রতিটি রেপের ঘটনার পর আমরা নিজেরা
নিরপেক্ষ জায়গায় বসে উভয়ের দোষ খোজার
চিন্তায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। এবং আমাদের চিন্তার
ফলাফল হয়, "রেপ একটি সামাজিক ব্যাধি, এটি
গভীর অন্যায়। পশুর কাজ। তবে হ্যা, নারীদেরও
উচিৎ শালীন থাকার, শরীর না দুলায়া চলার।
পুরুষ মানুষ সহ্য করে কিভাবে? "
যতদিন পর্যন্ত এই নিরপেক্ষ সাজার টেন্ডেন্সী বন্ধ
না হবে, দোষটা একক ভাবে পশুর ঘাড়ে না চাপবে
ততদিন রেপের দোষীরা পার পাবে, এটি বন্ধ হবেনা।
মিডিয়ার মত করে আমিও নির্বাক।
মিডিয়া নির্বাক "সেনাবাহিনীর লজ্জা নিবারনে"
আমি নির্বাক "আমি গনতান্ত্রিক দেশে বাস করে"।
বিচার চাই।
সামাজিক চিন্তার পরিবর্তন চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১০