কি ভেবে সেদিন "চিরকুট" শুনতে বলেছো বলতো? আমার এই
ধেড়ে গলায় তো গান হয়না। তবুও তোমার কথায় অতি আগ্রহ নিয়ে
গান ধরেছিলাম "ভালোবাসলে কেন ক্ষিদা পায় না..." শেষে ধমক
দিয়ে থামিয়ে দিলে। আমার Artcell তোমাকে টানে না। তোমাকে
মিফতা জামান খুব টানে। গানগুলো শুনিনি তা তো না! কিন্তু তুমি?
কি এক অদ্ভুত মায়া টেনে দিলে। গানের গলা কি সত্যিই সুন্দর
তোমার নাকি আমারই ভালো লাগতো!?
পদ্মার ইলিশ খাবার ইচ্ছে মিটেছে তোমার? পদ্মার ঢেউ দেখা হলো,
পাড় ধরে হাটা হলো, একসাথে পাশে বসে কত সময় গেল, কিন্তু
ইলিশটাই খাওয়া হলোনা। বাসের জানালাটা সারা রাস্তায় খোলাই ছিল,
বাতাসের ঝাপটা আর তোমার উড়ন্ত চুল! সেদিনই কবি না হতে পারার
দুঃখটা অনুভব করেছি, নাহয় হাজারটা কবিতা হয়ে যেতো!
মেঘনার ভরা পূর্ণিমায় জ্যোৎস্না স্নানটা আর হয়ে উঠেনি, থাক না।
কত কিই তো হয়ে গেছে, কিছু নাহয় বাদই থাকুক, কিছু নাহয় গোপন!
যে সময় একসাথে হয়ে কেটেছে তা দিয়ে হাজারটি গল্প হয়ে যায়,
হাজার পৃষ্ঠা দর্শন হয়ে যায়, কত কত ছোট গল্প আর ভালোবাসাবাসির
কবিতা হয়ে যায়। দু-একটি গল্প কবিতা নাহয় অলিখিতই থাকুক, আর
কিছু থাকুক বাতিলের খাতায়!
ক্রিসেন্ট লেকের পাড় ধরে সংসদ বেয়ে বিশাল চাঁদটার কথা বলছি!
সেই পূর্ণিমা তো সেই কবেই চলে গেল, চাঁদটা তো যায়নি, মাস শেষে
আবার আসে। আবার আলোয় ভাসায়, ভালোবাসায় ভাসায়, শূন্য করে
ডাকে, বারংবার! এই যে, আরেকটি পূর্ণিমা গেল, দোল পূর্ণিমা! কি
বললে খুশি হবে বলো। তোমায় ভেবে ভেবে সারা রাত জেগে চাঁদ
দেখেছি এই শুনে? নাকি জ্যোৎস্না মেখেছি অথচ তোমাকে মনেই
পড়েনি এই শুনে! যা খুশি ভেবে নিও। ইচ্ছে মত!
আর শুনো, ভালোবাসলে ক্ষিদে পায়না, কিন্তু তৃষ্ণা পায়! ভয়ানক তৃষ্ণা! ভয়াবহ তৃষ্ণা!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৩