টোকিয়ো, জুন ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স/বিবিসি)- জাপানে ১১ মার্চের ভূমিকম্প ও সুনামির পর প্রথম সপ্তাহে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল মূলত বিকিরণ ঘটেছে তার দ্বিগুণেরও বেশি।
জাপানের পরমাণু নিরাপত্তা সংস্থা এও বলেছে, তিনটি চুল্লিতে জ্বালানি রড গলেছে আগে যা ধারণা করা হয়েছিলো তার চেয়েও দ্রুত গতিতে।
তাছাড়া, বড় ধরনের পরমাণু বিপর্যয় সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতিও জাপানের ছিলো না। দুরদর্শীতার এ অভাবও পরমাণু সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করার জন্য দায়ী।
জাপানে ভূমিকম্প পরবর্তী পরমাণু সঙ্কটের তদন্ত শুরু হওয়ায় এ সব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জাপানের 'নিউক্লিয়ার এন্ড ইন্ডাসট্রিয়াল সেফটি এজেন্সি' (এনআইএসএ) এখন বলছে, ১১ মার্চ দুর্যোগের পর থেকে বায়ুমন্ডলে ৭ লাখ ৭০ হাজার টেরাবেকুয়ারেলস তেজষ্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে যা ধারণা করা হয়েছিল এ পরিমাণ তার দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রাথমিক ধারণা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার টেরাবেকুয়ারেলস।
ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এখনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটে চলেছে। কেন্দ্রটি জানুয়ারির মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন কেন্দ্রের পরিচালক। তবে ধারণা করা হচ্ছে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।
ফুকুশিমা কেন্দ্রের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসরত ৮০ হাজার স্থানীয় অধিবাসীকে তাদের বসত-বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু দূরের শহরগুলোতেও তেজস্ক্রিয়া দূষণ ঘটেছে।
সঙ্কট সামাল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাব এবং তেজস্ক্রিয়ার সঠিক পরিমাণ নিরূপণে ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে জাপান মঙ্গলবার নতুন করে পরমাণু বিদ্যুৎ নীতি এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিসিএস/এলকিউ/২১২১ ঘ.