২০০৯ সালের শেষের দিকে ব্লগের কথা শুনি বন্ধুদের কাছে, তারা ব্লগ লিখে.. ব্লগ লেখার একটা সুবিধা হলো ফিডব্যাকটা সহজে এবং কাছে থেকে পাওয়া... বন্ধুর কাছে এভাবে শুনে আগ্রহী হই, একদিন একটা একাউন্ট্ও খুলি... নিজের নামেই.. পরে ব্লগের দেখেছি নিজ নামে খুব কম জনই ব্লগ লিখেন.. সবার কি চমতকার চমতকার নাম..
১৯ ডিসেম্বর গেল ব্লগ দিবস... আমি এখনো ব্লগার হতে পেরেছি কিনা জানি না.. তবে সামুর কর্ণধার মিস জানাপুর পক্ষ থেকে মেইল পেছেছি, আমন্ত্রণ জানিয়েছেন... প্রথমে আসব কিনা এই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম, কেন ছিলাম এটা এখন বলতে পারছি না, শিপু ভাই সেটা জেনে তাড়া দিল... ব্যস নিয়ত পাকা কর্লাম আসব তাহলে...
আমার অফিস পল্টন.. সুপান্থ ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন, ফ্রেশ হয়ে দুজনই বেরুলাম... মাঝপথে অবশ্য জিসান শা ইকরাম ও সাইরাছ হেলাল মামার সাথে পল্টনের হোটেলে দেখা করলাম.. বয়সে অনেক বড় হলেও মজার মানুষ.. সুপান্থ সেটাকে এভাবে বলল, ৫০ শে তারুণ্য...
ঢুকার মাথাতেই পড়তে হলো শিপু ভাইয়ের ক্যামারার সামনে... ক্লিক ক্লিক.. কয়েকটা ছবি তৈরি হয়ে গেল প্রথমেই.. শিপু ভাইকে নিয়ে বলতেই হয়.. অসম্ভম মিশুক ও সুন্দর মনের মানুষ..
প্রগ্রামে যদিও নানা রকম সমস্যার কথা ইতোমধ্যেই বলা হয়েচে, সেসব আর বলছি না। তবে আমি প্রচন্ড মজা পেয়েছি, বিশেষ করে সবার সাথে দেখা হয়ে.. এত দিন যাদের কেবল কল্পনা করতাম.. যাদের লেখা পড়ে কমেন্ট দিতাম, ভালো লাগত তাদের সামনাসামনি আলাপ, দেখা ছোট কথা নয় নিশ্চয়...
তবে প্রোগ্রামের একটা নেগেটিভ সাইট না বললেই নয়, এত এত জ্ঞানী লোক এনে পরিবেশ গম্ভীর করার কোনো প্রয়োজন ছিল না... এখানো ব্লগারদের মধ্যেই এমন গম্ভীর, সদালাপী, হাসিখুশি, ফাজিল, বিশ্লেষক, গবেশষক, সাহিত্যিক কম ছিল না। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হলে আশা করি আরো উপভোগ্য হয়ে ওঠত প্লগআড্ডা..
আরেকটা আছে, মাত্র মনে পড়ল.. পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালক বেটা অনেক সুন্দর বক্তৃতা করল.. সবাইকে হাসাল. কিন্তু পরিচালক সাহেব তাকে বক্তৃতা দেয়ার আগে নাম ঘোষনা করেন নাই, খালি ডেজিগ্নেশন বললেন.. তাই এতসুন্দর একজন বক্তার নাম জানা হলো না ব্লগারদের..
অনেক প্যাচাইলাম এবার কিছু ছবি লুডাই... (অনেক ছবি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে, চেষ্টা করলাম যেগুলা না আসছে সেগুলো দিতে)
দুইজনে কুলাকুলি আরেকজনে হাইসা শেষ..
পরিবেশ দুষণকারী.. শিপু ও জাহাজী
শীতে কাবু পনিপু...
প্রোগ্রামের এক ফাকে ময়মনসিংহের ব্লগারদের একটা আলাদা আড্ডা হল.. একজন বললেন প্রগ্রামে মমিসিংগা ব্লগারই বেশি... আসলেই বেশি.. ফ্রাংকেস্টাইন ওরপে চে'র উৎসাহে সবাই মিলে একটা ছবিও তোলা হল... সেখানে ছয়জন পাওয়া গেল বৃহত্তর ময়মনসিঙহের.. খোজলে নিশ্চিয় আরো পাওয়া যেত নি:সন্দেহে..
মমিসিংগা ব্লগারদের ছবিটা দেখেন/..
সুপান্থ সুরাহী, আরজু পনি, ফারজুল আরেফিন, ফয়সাল তুর্য, রোকন রাইয়ান, চে গুয়েভারা-২/ফ্রাংকেস্টাইন, ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন..
চমৎকার দাড়ির মৈত্রী...
জিসান মামা ও কবি তানিম
নষ্ট কবির পাশের জনকে চিনি না..
জিহবায় ঘা হইছে, সেটা সবাইকে দেখাচ্ছেন পিচ্চি আশকারি রহমান
সবশেষে একসাতে...
ছবি সৌজন্যে : ব্লগার শিপু ভাই...