এই বিষন্নতায় ভরা রাতের অন্ধকারে
স্তব্ধ হয়ে বসে নিরালায়
চেনা অচেনা জানা অজানাতে
কত শত কল্পনার সুর ভেসে যায়
অমাবস্যার এই রাতের আকাশ
ভাবনায় মিশে যায়
ডাহুক পাখি জেগে রয়
একটি ভোরের অপেক্ষায়
-(মেঘ)
আমার সমস্ত সত্তা দিয়ে যখন তোমাকে অনুভব করি
স্পর্শ করতে চাই তোমার অন্তর্নিহিত সত্তাকে
তখন আমার ভেতরের সমস্ত বোধ,সমস্ত উপলব্ধি থেকে
মোহাবিষ্ট এক সুরের সৃষ্টি হয়,এক অনন্য ঐকতান
যা নিমজ্জিত হয়েছে কোন অচেনা এক গহ্ববরে
একলা আকাশটা আর নক্ষত্রে আলোকিত রাতটা সাক্ষী রইলো
সুরের ঝংকার একদিন বেজে উঠবেই
-(মেঘ)
স্নিগ্ধ শ্বেতশুভ্র তুষারের বুকে আমার এই আনাড়ি হাতে
এলোমেলোভাবে একে যাই ভালোবাসার চিহ্ন
আমি জানি,হয়তো উপহার হিসেবে খুবই যৎসামান্য
কিন্তু পুরোটাই যে তোমারি জন্য
-(মেঘ)
এ যে এক নতুন অনুভূতির জন্ম নিলো আজ
অচেনা এক অনুভুতি,অজানা এক ভালোলাগা
যেন অস্পৃশ্য এক মায়াবী জাদু
ঘোর লেগে যায় চোখে
মায়াবী এই মায়াজালে বন্দী হতে চায় মন
কি যে হলো সেই ভাবনায় কেটে যায় সারাক্ষণ....
-(মেঘ)
ঐ কালো চোখের মাঝে যে একটা দীঘি আছে
সেখানে ডুব দিতে ইচ্ছে করে
স্নিগ্ধ কোমল বাতাস হয়ে আলতো করে
ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে
কি যে করি আমি
আজ যে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে মন
কি করে শান্ত রাখি সারাক্ষণ
-(মেঘ)
জানি স্মৃতি হয়ে থাকবে তুমি
লুকিয়ে থাকবে মনের কুঠুরিতে
সেই আনন্দ বেদনার মূহুর্তগুলো সব
মিশে রবে এই অন্তরে
হারানো সুর আর সেই শিকলটা
সাক্ষী হয়ে রবে অগোচরে
-(মেঘ)
ভালোবাসার রংধনু রং ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে
সাতরঙা রঙে ভূবন মাতোয়ারা
রাঙিয়ে নাও নিজেকে সবগুলো রঙে
আর খুঁজে নাও ডাহুক পাখিকে
কালবৈশাখী দেখে ভয় পেয়োনা যেন
সেতো ক্ষনিকের আগন্তুক
একটু অপেক্ষা করো সোনা
অচিরেই শেষ হবে অপেক্ষার সময়টুকু
-(মেঘ)
যাক ভেসে মন ঐ সাগর জলে
উন্মাদ ঐ তরঙ্গ তলে
স্বপ্ন সুখের ঢেউ খেলে
ছোট্ট জীবন এগিয়ে চলে
জলকণা আর উদাসী মন
স্বপ্নেই নিদ্রা আর জাগরণ
মাতাল সেই উদাসী হাওয়া
অব্যক্ত উল্লাসের গান গাওয়া
-(মেঘ)
নিস্তব্ধ শান্ত স্মৃতি
মনের গভীরে রাতের ন্যায়
জ্যোত্স্নায় ভেজানো স্বপ্ন চোখের
ঘুম দিয়ে যায় ....
একলা জেগে থাকি আমি
শূন্যদৃষ্টে অজানায়.....
-(মেঘ)
উৎসর্গ:আমার খুব প্রিয় তিন আপুনিকে।অনিনদীতা আমি,রাজকন্যা কঙ্কাবতী,আজ আমি কোথাও যাবো না। আপুনিরা অনেক ভালো থাকো....