ছোট বেলা থেকেই আমি কারউ অশান্তীর কারন হতে চাই নি।
কিনতু ২০০৫ সালে যখন আমার বাবার চাকরী চলে গেলো,
তখন আমি আমার পরিবারে নিজ প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেললাম।
আমার পরিবারে তখন আমি অশান্তির কারন হলাম।
কিনতু বিশ্বাস করো সেখানে আমার দোষ ছিলো না।
দোষ বলবো না। অভাব বলবো। অভাব ছিলো আমার বাবার কিছু প্লানের।
কারন তিনি আমার জন্য কখনো সেভাবে ভাবেই নি।
যেনো আমি আকাশ থেকে পরেছিলাম। আমার যেন কেউই ছিলো না এই দুনিয়ায়।
যখন বুঝলাম আমি নিজে এই অশান্তির কারন
তখন নিজ ঘর ছাড়লাম। দেশ ছাড়লাম।
তারপরের ঘটনা ২০১২ সালের। আরেকজনের জীবনে অশান্তীর কারন হলাম।
বুজতে পারলাম আমি নিজেই এই অশান্তীর কারন। কিন্তু সেটা আমার বিশ্বাস হত না।
খুব ভালো তো বেশেছিলাম তাকে। তাই সময় লাগলো ব্যাপারটা বুজতে।
চার বছর কেটে গেলো। নিজ থেকেই সরে আসলাম তার থেকে।
বিশ্বাস করো, আজ দুইটা বছর ঘুমের মধ্যেও আমি তার ছায়াও মারাতে চাই না অন্তর থেকে।
কারন আমি যে তার অশান্তির মুল।
আজ আমি দেখি আমাকে ছাড়া সে বেশ ভালো আছে।
আর তার ভালো থাকাটাই আমি চেয়েছিলাম।
তাইতো নিজ থেকেই সরে এসেছি তার থেকে।
আমার একটা অনুজ আছে।
আমি অনেক গুলোদিন থেকে দেখেছি আর বুঝেছি আমি তার জন্যও অশান্তির কারন।
কারন আমি ফোন করলেই ও পালাবার রাস্তা খুজত।
তাই তাকেও ফোন করা ছেড়ে দিয়েছি।
বলতে পারো তার পথ থেকেও আমি সরে এসেছি।
এখন তো ছিলে তুমি।
তাই তোমাকে জ্বালাতাম
সব আবদার তোমাকে করতাম।
রাত বিরাতে ফোন করতাম।
এটা ওটা চাইতাম
মনে আছে তোমার, তুমি একদিন রাতে ঘুমিয়ে ছিলে।
আমি তোমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে লুডুলস খেতে চাইলাম।
অনেক জালাই তোমাকে তাইনা।
আসলে আমি জন্ম থেকেই সবাইকে জালিয়ে আসছি।
কারন সবাইকে তো খুব সহজেই আপন ভেবে ফেলি।
তাই অসময়ে অনেক কিছু চাই। মনে করি সে তো আমার নিজের মানুষ।
আমার কথাটা অন্তত রাখবে।
কিন্তু তোমার কাছে সেটা অশান্তি হয়ে যায়।
এটা তোমার দোষ না।
দোষ আমার।
আমি যার কাছেই থাকি তারই অশান্তীর কারন হই।
তাই হয়তো তোমার কাছে থেকেও আমাকে সরে যেতে হবে।
আমি আসলে চাইনা আমি কারউ জীবনে অশান্তীর কারন হই।
সবাই সুখে থাকুক আমাকে ছাড়া এটাই আমার প্রার্থনা।
(সংকলিত একটা সুইসাইড নোট থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬