জীবনের এক পর্যায়ে আমি ঘটনাচক্রে কয়েক মাস ফেণিতে ছিলাম। আলোচিত বাকধারাটি হরদম সব বয়সী মানুষের মুখেই শুনতাম, যেমন পুরোনো ঢাকায় নিজের বাবা সম্বন্ধেও সবাই "হালায়" ব্যবহার করত। সেই বয়সে যেমন একে অর্থহীন শব্দচয়ন মনে হয়েছে, সাম্প্রতিক শোরগোলের আগে পর্যন্ত তা-ই ছিল, কোন ভালোমন্দ "অর্থ" খোঁজার চেষ্টাই করি নি কখনো। মনে পড়ে বহুদিন আগে এক খবরের কাগজে হুমায়ূনের এক মেয়ের লেখা চিঠির কথা - দিনাজপুরের এক উপজেলার নাম এ রকম কেন, এ নিয়ে বালিকার আপত্তি। ফেণির ছাগলনাইয়া নামটি "সাগরনাইয়া" থেকে এলেও সেখানকার মানুষের মধ্যে তা বদলানোর কোন তাগাদা নেই, অন্যরা যতই হাসাহাসি করুক না কেন।
এই সব নিত্য প্রচলিত আঞ্চলিকতা নিয়ে এত হৈচৈ-য়ের কারণ বুঝি না। পৃথিবীর সব দেশেই এলাকাভেদে এমন সব শব্দের দৈনন্দিন প্রয়োগ দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে কেনেডি পরিবারের অনেক সদস্যও রাগের মাথায় প্রমিত ইংরেজী থেকে সরে যেতেন। হয় তো কংগ্রেসে ব্যবহার করেন নি। কিন্তু নিজের অফিসে কোন বাধা-নিষেধ নেই।
কে জানি একবার বলেছিল - আমাদের সংসদ এক শুয়রের খোঁয়ার। মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী প্রতি বক্তৃতাতেই বি,এন,পি কে নয়, শুধু সে দলের নেত্রীকে পরিকল্পিতভাবে এমন অশোভন ব্যক্তিগত আক্রমন করেন যে তার সমরূপ উদাহরণ পৃথিবীর অন্য কোন দেশে পাওয়া যাবে না।
৭ই মার্চের ভাষণও গ্রাম্যতাদোষে আগাগোড়া দুষ্ট। কখনো কখনো এ রকম ভাষাই সব চেয়ে কার্যকর হয়।