আমি যখন জন্মালাম তখন দেখলাম আনন্দ
আমি যখন জন্মালাম তখন শুনলাম বিকট শব্দ
আমি যখন জন্মালাম তখন ঐ শব্দের ধ্বনিতে আমি দেখলাম আমার পিতামাতার উল্লাস
আমি ভাবলাম এ শব্দ বুঝি উল্লাসের অপর নাম।
আমি যখন বেড়ে উঠলাম তখনো দেখলাম আনন্দ
আমি যখন বেড়ে উঠলাম তখনো টিভিতে দেখলাম রক্তাক্ত মানব-মানবী
আমি যখন বেড়ে উঠলাম তখন দেখলাম এমন রক্তাক্ত মানব-মানবী ছবি দেখে আমার পরিবারের উল্লাস
আমি আবারো ভাবলাম এ ছবি বুঝি উল্লাসের দৃশ্যায়ন।
সেদিন এমন উল্লাসের মাঝে
আমি শুনলাম বিকট শব্দ
খুব কাছ শব্দ, ঠিক যেন ঘরের দেয়ালে
আমার শঙ্কিত পরিবারকে দেখলাম হঠাৎ দেখলাম আনন্দিত হতে
উল্লাস করে দরজা খুলতে
দেখলাম আমার মতই এক শিশু তবে রক্তাক্ত-নিস্তেজ
এক যোদ্ধার শরীরের ভার তার বুকে
নিস্তেজ চোখ আমার পানে
আমি খুজে পেলাম যন্ত্রনার অনুভূতি
তবে আমার পরিবার করলো উল্লাস ঐ যোদ্ধার সাথে।
তরিপর হিচড়ে নিয়ে গেল ছোট্ট দেহটিকে
আমি জানলাম সে ফিলিস্তানী তাই এটাই তার নিয়তি
আমি জানলাম তার নেই বাচবার অধিকার
আমি জানলাম তার নেই কোন জাতিসত্ত্বা
কেবলই জনসঙখ্যঅ যা কিনা আবার মূল্যহীন
তারা দখল করেছে আমার ভূমিকে
আমি জানলাম পৃথিবী চায়না তাকে
তাই চলছে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধ্বংসযজ্ঞ
যেন তাদের দখলদারিত্বের অবসান ঘটে আমার ভূমি হয় মুক্ত
যদিও সে ভূমি হোক না কেন শিশুর রক্তে রাঙানো।
আমি জানলাম তাদের রক্তাক্ত করা আমার জন্মগত অধিকার
আমি জানলাম তাদের মৃত্যু তাদের জন্মগত অভিশাপ
কারণ আমি ইসরাইলী শিশু।
আমি এখন জানলাম আমাকে যা জানানো হলো পৃশিবীও তা জানে
পৃথিবীও চায় ফিলিস্তানী নিপাত যাক
মানবতার বলি হোক
পৃথিবীও ভুলে যেতে চায় তাদের পাচটি হাজার বছরের ইতিহাস
আমিও ভাবলাম আমি ও আমার জন্মও হয়তো তাই চায়।।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯