শিরোনাম পড়ে কী অবাক হচ্ছেন ভাবছেন স্বাগতম না জানিয়ে আমি কেন বলছি মোস্ট ওয়েলকাম , আসলে আমি আপনাকে নতুন বাংলা ছায়াছবি মোস্ট ওয়েলকাম নিয়ে বলতে আগ্রহী । প্রথমেই চলচ্চিত্রের নামটি মোস্ট ওয়েলকাম না হয়ে স্বাগতম কিংবা অভিবাদন হলে কিংবা নায়ক অনন্তেও জায়গায় সাকিব খান হলে কেমন হতো এই বিশ্লেষণে যেতে চাই না বরং যা আছে তা নিয়েই একটি নাতিদীর্ঘ আলোচনায় আগ্রহী।
শুরুতেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা , যখন আমি ছবিটি দেখছিলাম তখন নায়কের হিরোইক মারামরি দেখে আমার এক বন্ধু খুব হাসছিলো তখন আমার অপর বন্ধুটি বললো “সালমান শাহরুখ করলে সমস্যা নাই আমরা বাঙ্গালীরা করলেই হাস্যকর”। এই মুহূর্তেও আমিও বলবো আমাদেও এমন দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন আবশ্যক। মোস্ট ওয়েলকাম ছবির গ্রাফিক্সেও কাজ এক কথায় অসাধারণ। আমাদেও দেশে মূল ধারার চলচ্চিত্রে এমন গ্রাফিক্স এই প্রথম; এর জন্যই ছবিটি প্রশংসার দাবিদার । পাশপািিশ ছবিটির বেশ কিছু জায়গায় বিশেষ কওে গানগুলোতে যেমন - পড়েনা পলক গানটির যামেরোয় কাজও ভাল ছিল।
প্রথমে দর্শণধারী পওে গুণবিচারী , তাই এখন আসি গুণগত বিশ্লেষণে। ছডিবটির প্রেকাষাপট দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুনর্ীুতি বিরোধী অভিযান এবং আইনশৃঙাখলা বাহিনী ভূমিকা সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রটি যেন ভাঙতে আগ্রহী তাদেও নিদ্রচ্ছন্ন পরিবেশকে।এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে বিষয়বস্তু ভাল গলেও কাহিনী নির্মাণ আরও শক্তিশালী ও যৌক্তিক হবার দাবি রাখে ।অপ্রয়োজনীয় চরিত্রে আগমন ও প্রস্থার দৃষ্টিকটু; যেমন রাধিকা(পলিশ অফিসাওে॥প্রেমিকা/স্ত্রী বোধগম্য নয়) কেন কী কারনে একটি গানের তালেতালে নেচে উধাও হয়ে গেল !
তবে আমার মতে সিনেমাটির প্রধান দুর্বলতা নায়ক-নায়িকার দুর্বল অভিনয়, নায়ক অনন্তেও বাংলা উচ্চারণ যা খুবই শ্র“তিকটু।
আর বিশেষভাবে বলতে চাই ইজ্জত নিয়ে টানাহেচড়া নিয়ে তাও আর নারীর ইজ্জত । এক কথা এক দাবি বাংলা সিনেমান ইজ্জত সংস্কৃতির অবসান চাই ।
গবশেষে বলবো মনে হয় ছবিটির সমালোচনাউ বেশি হবে তবে আমি তা করতে চাই না আমি বলবো মোন্ট ওয়েলকাম সিনেমার সাথে জড়িতরা নিজেদেও মানোন্নয়ন করবে এবং এমনি নতুন নতুন ধারার সিনোমা আমাদেও উপহার দেবে ।