চ্লুন একটু ঘুরে আসি ইতিহাসের পাতায়,১৯৯৬ সাল বাংলাদেশ ও ভারত গঙ্গা চুক্তি্তে সাক্ষর করে। এই চুক্তির ৯ নং ধারায় বলা আছে যৌথ নদি গুলোর পানি বন্টনে ভারত ও বাংলাদেশ ন্যায়পরায়নতার ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পানি ভাগাভাগি করে নেবে।তাহলে আজ টিপাইমুখ বাধের প্রকল্পের কথা আগে থেকে সম্পূর্ন তথ্য সমেত বাংলাদেশের নিকট প্রেরন করবার প্রয়োজন ছিল । কিন্তু তা কি হয়েছে ?
বাংলাএশের সী্মানার মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ১৬১ মিটার উচু এবং ৩৯০ মিটার লম্বার এই বাধটি তৈরি হতে যাচ্ছে ভারতের বরাক নদী যা বাংলাদেশে সুরমা ও কুশিয়ারি নামে প্রবাহিত হয়েছে এবং তুইভাই নদির মিলন স্থলে টিপাইমুখ নামের গ্রামে । যার ধারনক্ষমতা ১৫.৯ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি এবং এটা ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ।কিন্তু এই বাধ নির্মিত হলে নিকটবর্তী ২৮৮।৬০ কিলমিটার এলাকা কখনো জলমগ্ন কখনো মরুকরন থাকবে আর মনিপুরের ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পরবে আর ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের সিলেট অঞ্চল।
মুলত ১৯৮০ ও ১৯৮৩ সালে যৌথ নদী কমিশনের যে বৈঠক হয়েছিল সেখানাই ভারত প্রথম টিপাইমুখ বাধ এবং ফুলেরতলে ব্যারেজ নির্মানের প্রস্তাব করে।সেই তথ্যের আলোকে বাধটি নির্মিত হলে এক ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ,কৃৃষি , মৎস ও নৌ-পরিবহনে বাধা আসবে এছাড়াও দেশে বন্যা্র প্রকোপ বেড়ে যাবে আর বাড়বে ভুমিকম্পের আশঙ্কা।
ভারত বলছে যে এ বাধ বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করবে না -তাহলে আবার একটু ইতিহাসের পাতাই যাই -১৯৫১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ভারত বলে আসে ফারাক্কা নির্মিত হলে বাংলাদেশের কন ক্ষতি হবে না , কিন্তু এই ফারাক্কা কি অপুরনীয় ক্ষতি করেছে আমাদের উত্তরাঞ্চলের তা পদ্মার বুকের দিকে একবার তাকালএই বুঝা যায়।তাছাড়া আধুনিক অনেক পরিবেশবিদ মনে করেন বড় বাধ ভবিষ্যৎ জনসাধারনের ব্যাপক ক্ষতির কারন বৈকি আর কিছু নয়।তাই আমেরিকা অনেক বড় বাধ ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে ফেলেছে ।
এসব বিবিধ কারনে আমাদের উচিৎ অতিসত্তর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন বন্ধ করা , ভারত সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা ।