রেশনাল পদ্ধতি
চিন্তার রেশনাল পদ্ধতি নিয়ে আজকে আলোচনা করা যাক বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন প্রতিটি মানুষ এই পদ্ধতিতে চিন্তা করে থাকে, এই পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে অথবা না জেনে
চিন্তার এ পদ্ধতির জন্য দরকার –
১. একটি বাস্তবতা
২. উপলব্ধি
৩. মানুষের সুস্থ্য মস্তিষ্ক ও
৪. ঐ বিষয়ে পূর্বে রক্ষিত তথ্য
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমরা যখন কোন বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করি, পঞ্চইন্দ্রিয় তা উপলব্ধি করে তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায় মস্তিষ্ক তার সংগ্রহে থাকা ঐ বিষয়ের পূর্বের তথ্যের সাথে মিলিয়ে একটা অভিমত দেয় আমরা তখন সেভাবে আচরণ করি এই পদ্ধতিতে চিন্তা করার নামই রেশনাল পদ্ধতি যে কোন বিশ্বাসের লোকই এভাবে চিন্তা করে
এই পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়; কিন্তু এর ফলাফল স্বত:সিদ্ধ ও বিতর্কের কোন অবকাশ নেই কোন বদ্ধ ঘরে ঢুকে আপনি দেখলেন একটি লোক রক্তাক্ত পড়ে আছে রুমটি বাইরে তালা বদ্ধ মাথায়, গায়ে আঘাতের চিহ্ন আপনার সামনে এতটুকু্ই বাস্তবতা উপস্থিত এর বেশি কিছু আপনি জানেননা এখন রেশনাল পদ্ধতিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক
১. বাস্তবতা হলো এখানে একজন মানুষ রক্তাক্ত পড়ে আছে
২. চোখ এই বাস্তবতা দেখল ও মস্তিষ্কে সিগনাল পাঠাল এটাই উপলব্ধি পঞ্চইন্দ্রিয়ের যে কোন একটি দিয়ে বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায়
৩. যে ব্যক্তি ঘরে ঢুকে বিষয়টি দেখল সে ব্যক্তি সুস্থ্ মস্তিষ্কের হতে হবে যাতে তার মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে
৪. মস্তিষ্কে পূর্বে তথ্য রক্ষিত ছিল, এরকম রক্তাক্ত হয় শুধু ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তাই মস্তিষ্ক বাস্তবতার নিরিখে রায় দিল লোকটি কারো দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে
এই প্রমানের জন্য তাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়নি কেউ যদি এখন প্রশ্ন করে আপনিতো হত্যাকারীকে দেখেননি তাহলে কেন বলছেন তাকে মানুষ হত্যা করেছে? হত্যাকারী কোন জীবজন্তু বা অন্য কিছুও হতে পারে আপনার মস্তিষ্কে পূর্বের রক্ষিত তথ্য বলে দেয় জীবজন্তু হত্যা করলে বাইরে তালা লাগানো থাকতোনা তাই এটি ১০০% নিশ্চিত যে কোন মানব হত্যাকারী লোকটিকে হত্যা করেছে কিন্তু এই মেথডে আমরা লোকটির উপস্থিতি অনুধাবন করতে পারি তার সম্পর্কে আর কোন তথ্য আমরা জানতে পারিনা এই রেশনাল পদ্ধতিতে প্রমাণ করার পরও যদি আপনাকে কেউ বলে আপনি হত্যাকারীকে দেখেননি তাহলে কেন নিশ্চিত হলেন আপনি একজন অন্ধ ব্যক্তি তাহলে বুঝতে হবে চিন্তার এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে লোকটি অন্ধ এবং আপনি না দেখলেও হত্যাকারীর উপস্থিতি সম্পর্কে আপনার বিশ্বাস সঠিক কেননা তা রেশনাললি প্রমাণিত
যে বিষয়গুলি সায়েন্টিফিক পদ্ধতিতে প্রমাণ করা যায়না বা সায়েন্সের আওতায় পড়েনা, সে বিষয়গুলি এই মেথডে প্রমাণ করা যায় এবং তা বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কেননা এখানে কোন ইমোশন, মিথ্ বা ভিত্তিহীন ধারণার আশ্রয় নেয়া হয়নি (চলবে)