মানুষের বিশ্বাস মূলত তিন ধরণের:
১. সৃষ্টিকর্তা আছেন
২. সৃষ্টিকর্তা নাই
৩. সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নাই তা নিয়ে ভাবার দরকার নাই
যারা ১নং শ্রেণিতে পড়ে তাদেরকে বলা হয় আস্তিক।
যারা ২ নং শ্রেণিতে পড়ে তাদেরকে বলা হয় নাস্তিক।
যারা ৩নং শ্রেণিতে পড়ে তাদের বলা হয় স্যেকুলার।
আমাদের দেশে এই তিন শ্রেণির বিশ্বাসের ধারক বা অনুসারী দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো এর মধ্যে কোন বিশ্বাসটি সঠিক তা বোঝার উপায় কি?
প্রথমত, আপনাকে নিরপেক্ষ হতে হবে অর্থাৎ বিশেষ কোন ধর্ম বা চিন্তার অনুসারী হলে চলবেনা। তবে অনুসারী হতে দোষ নেই যদি সঠিকটি পাওয়ার জন্য নিজের মধ্যে নিরপেক্ষ সত্ত্বা বহাল থাকে।
দ্বিতীয়ত, চিন্তা কী, সে বিষয়ে কিছু তাত্ত্বিক আইডিয়া অর্জন করতে হবে। কারণ আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তা করতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ চিন্তা কী কত প্রকার ইত্যাদি।
তৃতীয়ত, চিন্তার একটি মেথডোলজি ঠিক করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন বিশেষ ব্যক্তির দেয়া মেথডোলজি হলে চলবেনা কারণ তাহলে এখানেই ডিবেট শুরু হয়ে যাবে, সামনে আগানো যাবেনা। মেথডোলজি হতে হবে এমন যা মানুষের ন্যাচার এর সাথে খাপ খায় যা কেউই অস্বীকার করতে পারবেনা। যেমন: ক্ষুধা মানুষের একটি ন্যাচার যা দেশী বিদেশী কেউই অস্বীকার করতে পারবেনা।
এরপর শুরু করতে পারেন চিন্তা, তাহলে পৌঁছে যাবেন আপনার গন্তব্যে। হতে পারবেন নিজ বিশ্বাসের প্রতি কনফিডেন্ট। (চলবে)
১. ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯ ১
আমাদের দেশে এটার আবার অনেক সমস্যা। কথা বললেই বিপদ। চুপ থাকাই শ্রেয়!