আমি দীর্ঘদিন বৈশাখী বাসে যাতায়াত করেছি। রংসাইড দিয়ে অনেকবারই বাসকে যেতে দেখেছি। ঢাবির বাসের জন্য এটা বৈধ। দেশের কর্তা ব্যক্তিরা সাধারণ জনগণকে জ্যামে আটকে রেখে চলা ফেরা করেন, কেননা তারা দেশের হোমরা চোমরা ব্যক্তি। ঢাবির ছাত্ররাও দেশের ভবিষ্যত কর্তা ব্যক্তিত্ব, তাই আগে থেকেই কর্তা ব্যক্তিদের শেখানো কর্মকান্ড অনুশীলন করতে দোষ কোথায়?
সম্প্রতি চৈতালী বাসের ছাত্রদের সম্পর্ক ফেসবুকে বেশ লেখালেখি হচ্ছে। আমার কাছে মানে হয় চৈতালী বাসের ছাত্রদের কর্মকান্ড তারুণ্যের উচ্ছাস। তারুণ্য ঘরের কোনে বন্দি থাকেনা। যেমনি চুপচাপ থাকেনা জ্যামের মধ্যে। মানিক চৈতালী বাসকে সাইড না দিয়ে ভুল করেছেন। চৈতালীকে সাইড দিতে গিয়ে মানিক যদি সিগন্যাল ব্রেক করতেন, ট্রাফিককে চৈতালী বাস দেখিয়ে দিলে ট্রাফিক তাকে কিছুই বলতোনা। দেশের গুরুত্বপূর্ণো ব্যক্তিরা রাস্তায় চললে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় জ্যামে পড়ে থাকতে হয়। চৈতালী বাসে এরকম অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণো ব্যক্তি ছিলেন (ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব), মানিককে একথা ভুলে গেলে চলবেনা।
মানিক নিজেকে ঢাবির প্রাক্তন ছাত্র পরিচয় দিয়ে তাদের ওপর একহাত নিতে চেয়েছিলেন্, প্রাক্তন ছাত্রের গর্বো করার প্রয়াস পেয়েছিলেন, যাতে কোন ফল হয়নি।মানিক পুলিশের সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন, সেটাও ব্যর্থোতায় রূপ নেয়। মানিকের সমচেয়ে বড় ভুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেও দেশের দূর্ণীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল নন; যে ভুলের কারনে তিনি পুলিশকে বন্ধু ভেবে বসেছিলেন। মানিকের বন্ধু তানভীর সমাজের এরকম চিন্তাশূণ্য ও উন্মত্ত আচরণ সম্পর্ লিখেছেন। বেশ ভালো কখা! শাহবাগে পুলিশ যখন কাদেরকে পেটায়, পুলিশ যখন রাতের অন্ধকারে মেয়েদের হলে পাশবিক নির্যাতন চালায়, পহেলা বৈশাখে যখন নারীদের বিবস্ত্র করা হয়, ব্যবস্থাপনার অভাবে যখন মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকে তখন কি তানভীর সাহেব প্রতিবাদ করেছিলেন? আমি জানিনা। করলে তানভীর সাহেবকে সাধুবাদ জানাই। না করে থাকলে শুধু বন্ধুর সমস্যাই তার হৃদয় কেড়েছে। যেখানে দেশের হাজারো মানুষ নিগৃহীত, শোষিত, তা তার হৃদয়ে আঁচড় কাড়েনা। এ ধরণের মানসিকতা সংকীরণতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
যে মানিকের ওপর ছাত্ররা চড়াও হয়েছিল, সে ছাত্ররাই সেনাবাহিনী কর্তৃক শিক্ষক নির্যাতনের বিপক্ষে সোচ্চার ছিল, রাজপথে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। পুরো সমাজ আজ দূর্নীতিগ্রস্ত বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এ সমাজের বাইরে নয়।
তানভীর সাহেব চৈতালী বাসের ছাত্রদের হাত ধোয়ার কথা বলেছেন। শুধু চৈতালী বাসের ছাত্ররা হাত ধোবে কেন? তানভীর সাহেবকেও হাত ধুতে হবে। কারণ তিনি ও দেশের সচেতন নাগরিকদের একজন এবং সকল সচেতন নাগরিকদেরই হাত ধুতে হবে এ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার দায়ে। যে শিক্ষাব্যবস্থা আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরি করবে, এমন মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র ও শিক্ষা কি জরুরী নয়?
http://www.proyozon24.com/ঢাকা-ইউনিà¦à¦¾à¦°à§à¦¸à¦¿à¦Ÿà¦¿à¦°-ষà§à¦Ÿà§à¦¡/