বেচারার আর কি দোষ বলেন, বর্তমান সময়ের মতো চিঠি পত্র পাঠানোর এতো এতো মাধ্যম তো তখন আর ছিলনা। বিভিন্ন বংশের রেষারেষিও ছিল সে সময়ে তুঙ্গে।
মনের কথা প্রিয় জনকে জানাতে না পারাও বিষণ পীড়াদায়ক।কোন বিশ্বস্ত বাহক দিয়ে চিঠি পাঠাবে সে ভরসাও করা যায় না। দেখা গেল কি বাহক নিজেই চিঠি খানা পড়ে নিয়ে সমস্ত রাজ্য ডোল পিটাল, অথবা আহাম্মকটা নিজেই চিঠি সমেত ধরা পড়ল।
শেষমেশ সাংকেতিক চিঠিকেই হইত সে নিরাপদ ভেবেছিল। ঘটনাটা ১৮৯০ সালের। উইলিয়াম উয়েটম্যান নামের একজন ব্যক্তি তার প্রেমিকাকে চিঠিটি লিখেছিলেন।
চোখ, করাত, জাহাজ, ঘোড়ার চাবুক ইত্যাদিকে তিনি সংকেত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের লাইব্রেরির সংরক্ষক এলিজাবেত বেনেট বলেন, "চিঠিতে তিনি 'E' দ্বারা তার প্রেমিকার নাম বুঝিয়েছেন। জাহাজটি এঁকেছিলেন বন্ধুত্বের প্রতিক হিসেবে। তাছাড়া হৃৎপিণ্ড ও এর মধ্যে আঁকাবাঁকা লাইন একে উইলিয়াম তার ভগ্ন হৃদয় কে তুলে ধরেছিলেন"
তিনি আরও বলেন, এত গুলো সংকেত চিঠিটিকে খুবই জটিল করে তুলেছে। যদি আগে থেকেই সংকেত গুলোর গুড় অর্থ জানা না থাকে তাহলে চিঠিতে ব্যক্ত অনুভূতি গুলো বোঝা খুবই কঠিন"
জানিনা চিঠিটি শেষপর্যন্ত তার প্রেমিকার হাতে পোঁছেছিল কিনা, কিংবা চিঠিটি পড়ার পর কেমন ছিল মেয়েটির অনুভূতি। তাদের দু'জনের জন্যই শুভকামনা, আশা করি তারা পরকালেও সুখের ঘর বেঁধেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১২ রাত ১:২৭