পর পর ২ ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে একাদশে না নেওয়াই আমাদের অনেকের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই এই নির্মম/আত্তগাতি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছি।
কিন্তু ইন্ডিয়া দেশটার বাস্তবতা ভুলে গেলে তো চলবেনা। তাদের শত কোটি মানুষ গত এশিয়া কাপ নিয়ে দেখেছিল অনেক রঙিন স্বপ্ন। বিশেষ গত বিশ্বকাপ জয় করাই এশিয়া কাপের মত ছোট টুর্নামেন্ট তারা অনায়াসেই জিতবে এমনটিই ছিল তাদের ধারণা। গত বিশ্বকাপের ৩ সেমিফাইনালিস্টই এশিয়া কাপে থাকাতে এই কাপ জয়ও বিশ্বকাপের মত মর্যাদার হতো।
তাইতো ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ড মাইক্রোম্যাক্স যারা কিনা এশিয়া কাপের স্পন্সর ছিল তারা নিয়ে এসেছিল বলিউডের নায়ক নায়িকা সহ বিপুল পরিমাণ ইন্ডিয়ান। পাকিস্তান ইন্ডিয়া ম্যাচ চলাকালিন সময় মাঠের বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে তাদের দেওয়া ভাষণ থেকে আরও পরিস্কার ভাবে বোঝা যায় তারা কতটা আশাবাদি ছিল এশিয়া কাপ নিয়ে।
তারপর কি হল? বাংলাদেশের সামনে মুখ থুবড়ে পরল ইন্ডিয়া। সামনে এই জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিল সাকিব। তারপর ও ইন্ডিয়ানরা আশা ছেড়ে দে নি। যে সব ইন্ডিয়ান বাংলাদেশে এসেছিল তারা হোটেলে আর দেশের গুলো দেশে বসে অপেক্ষা করতে লাগল বাংলাদেশের পরাজয়ের। কিন্তু সে আশাও ধুলোই মিশিয়ে দিল টাইগাররা।
শতকোটি মানুষের হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।
এরপর সেই সাকিবকে কেকেআর কেমন করে তাদের দলে নেবে বলুন?পুরো ইন্ডিয়ার ক্ষোভ তাদের দলের উপর এসে পরবে। তারা হয়ে যাবে দেশদ্রোহী। তাছাড়া আইপিএলে হারলেও কিছু যাই আসেনা। এটা এমন কোনও মর্যাদার টুর্নামেন্ট না। সুতরাং শুধু সাকিবকে একাদশে নিয়ে দেশের মানুষের রোষানলে পরতে যাবে কেন সারুক অ্যান্ড কোং।