ছবি : অন্তর্জাল
ছবির মেয়েটির নাম অরিত্রি অধিকারী (১৫), সে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ত। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। দৈনিক প্রথম আলোকে অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন,'' তাঁর মেয়ের পরীক্ষা চলছে। গতকাল রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়। মোবাইলে নকল করছে—এমন অভিযোগে অরিত্রিকে সোমবার তাঁর বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও অরিত্রিকে নিয়ে স্কুলে যান। তার ছোট মেয়েও একই স্কুলে পড়ে। তাঁরা প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের ‘অপমান’ করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আগামীকাল মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলা হয়। এরপর তিনি প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। যেখানে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যও ছিলেন। প্রিন্সিপালও ভাইস প্রিন্সিপালের মতো আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্ত্রীসহ তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। অরিত্রিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন তাঁরা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।''
ছবি : অন্তর্জাল
আমি নিজে একজন কন্যা সন্তানের বাবা, সেকারণে দিলীপ অধিকারীর বেদনা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারি। যে মেয়েকে ১৫ টি বছর তিলে তিলে বড় করে তুললেন চোখের পলকে তাঁকে হারালেন। এই আত্মহত্যা অপমৃত্যু নয় বরং প্ররোচিত হত্যা। বিদ্যালয়ের কাজ শিশুদের ভুলগুলো শুধরে জীবনবাদী করে তোলা, শাস্তি দিয়ে অপমানিত করা নয়। ভিকারুননিসার মতো ‘নামী প্রতিষ্ঠান’ কি করে একজন ছাত্রীর কাছে একটা মোবাইল ফোন পেয়ে তাঁকে শাস্তিস্বরূপ ‘ট্রান্সফার’করতে চায় এবং অভিভাবকসহ ক্ষমা চেয়েও রেহাই পায় না? খ্যাতনামা স্কুলগুলোয় কী চলছে, সেটা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩