আল্লাহ্ সর্ব শক্তিমান
তারিখঃ ০১-১২-২০২০
বরাবর
ব্যাবস্থাপনা পরিচালক
ইউনাইটেড শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল
সবুজ বাগ হবিগন্জ
শিরোনামঃ সত্যের বিজয় চিরস্থায়ী, সমালেচনা অস্থায়ী, সন্মানের সাথে ফিরে আসাই ছিল মূল জয়।
ঘটে যাওয়া ঘটনারঃ-
বিস্তারিতঃ-
রাত আনুমানিক ০৩ঃ২৩ ঘড়িতে, এই সময় আমার এক পরিচিত লোকের কল আসলো তাহার এবডোমিনাল ব্যাথা। ফোনে ব্যাথায় কাতর অবস্থা শুনে আমি তাকে গ্যাস্টিক এর ঔষধ সেবন করে বেশী করে পানি পান করার পরার্মশ দিলাম। তিনি জানালেন তাহার কাছে কোন ঔষধ নেই। তিনি আমাকে আসার জন্য অনুরোধ করলেন। জীবন ভাই তখন ঘুমে ছিলেন। তাই আমি কিছু ঔষধ নিয়ে নিচে নেমে আসলাম।এবং আপনার দায়িত্বরত সুরক্ষা কর্মীকে ডেকে তুলে তালা খুলতে বললাম এবং আমার ব্যাক্তিগত সুরক্ষার জন্য তাকে আমি আমার সাথে যাওয়ার জন্য বললাম। তিনি জানালেন আপনার বারণ আছে তালা দিয়ে বাহিরে যাওয়ার। আমি আমার পরিচিত লোকের অসুস্থার কথা তাকে বলার পর তিনি যেতে রাজি হলেন। তারপর ভালো করে তালা দিয়ে, মাষ্টার কোয়ার্টার রোড দিয়ে আমরা স্থানীয় কমিশনার এর বাসা সংলগ্ন এতিম খান রোড হয়ে তাহার বাসায় পৌছালাম। সে সময় ইনাতাবাদ সুরক্ষা কর্মিদের সাথে আমাদের দেখা হয়। যার বাসায় আমরা গিয়েছিলাম তাহার নাম মারুফ। আমি তাকে ঔষধ গুলো দিয়ে খাওয়ার নিয়ম বলে সাথে সাথে ফিরে আসি। ইনাতাবাদ পয়েন্ট যেহেতু ফন্ট লাইন তাই আমি স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। পয়েন্টে আমাদের আটকানো হলো। আমি আমার পরিচয় দিয়ে বিস্তারিত তাদের অবগত করলাম। তারা আমাকে বলল যার কাছে গিয়েছিলাম তার নাম্বারে কল দিতে। আমি সাথে সাথে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায়। যেহেতু আমি ঐ এলাকার স্থানীয় নই তাই ভাষা গত সন্দেহের কারণে আমাকে হাসপাতালের ম্যানেজার বরাবর কল দিতে বলল। যেহেতু আমি আন অফিসিয়াল ভাবে বেরিয়েছিলাম তাই অফিসের কাউকে এব্যাপার এ অবগত করতে চাইছিলাম না। তাই আমি সদর এর প্রধান টেকনোলজিষ্ট ইমতিয়াজ তুহিন ভাইকে কল দিলাম। গভীর রাতের কারণে উনি ফোনটি ধরতে পারলেন না। পয়েন্টের সুরক্ষা কর্মী সদর থানার ওসি কে বিষয়টি জানালো। তিনি আসলেন আমি তাকে সালাম দিয়ে বিস্তারিত বললাম। উনি বিষয়টি বুঝতে পারলেন। আমি রেফারেন্স হিসেবে জীবন ভাই এর সাথে কথা বলিয়ে দিলাম। উনি সন্তুষ্ট হলেন এবং আমাদের এস আই এর কাছে নিয়ে গেলেন। আমি সাহসীকতার সাথে তার সাথে কথা বললাম। এবং আমার পুরো পরিচয় ইংরেজীতে দিলাম। তিনি আমার জেলার নাম শুনলেন তারপর টাংগাইলের কোন থানায় আমার বাড়ি সেটি জানলেন, আমি ঘাটাইল বলার পর বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। ওরা বুঝতে পারে নি, চুরি,ছিনতাই এর কারণে নাকি এলাকাটি রেড সিগ্যানাল এ আছে। উনি গভীর রাতে আর কখনো বের না হওয়ার পরামর্শ দিলেন। আমি সম্মতি জানালাম। তিনি আমাদের হাসপাতালে রেখে আসার আদেশ দিলেন। ২ জন পুলিশ আমাদের আমাদের সুরক্ষা দিয়ে রেখে গেলেন।আমি তাদের যে কোনো স্বাস্থ্য সেবার জন্য ইউনাইটেড এ আসার আমন্ত্রন জানিয়ে ভেতরে ডুকে গেলাম।
আমাদের দোষ সমুহঃ
১। গভীর রাতে বের হওয়া। (অসুস্থ রোগীর কল্যানে )
২। হাসপাতালের আইডি কার্ড না নিয়ে বের হওয়া।
৩। কতৃপক্ষকে অবগত না করে বের হওয়া।
[আমরা কোন অপরাধ মূলক কাজের সাথে লিপ্ত ছিলাম না। তাই থানায় ডুকে এস আই এর সাথে কথা বলে সন্মানের সাথে ফিরে আসতে পেরেছি। এজন্য আপানার সাহায্যের কোন প্রয়োজন হয়নি, এবং আপনার প্রতিষ্ঠান এর ভাব মূর্তিও অক্ষুন্য হয়নি। তাই আমি চেয়েছিলাম, বিষয়টি আপনার কাছে অনুপস্থিতই থাক]
এখানে তাপস ভাই এর কোন ভূমিকা নেই, তিনি আমাদের কাছে কল দিয়েছিলেন থানা থেকে বের হয়ে যখন হাসপাতালে চলে আসি। আমি উনাকে পুনরায় কল দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করি। তিনি আমাকে বলেন সকালে কথা হবে। সকালে আমার থেকে কি হয়েছে সেটা বিস্তারিত না শুনেই প্রচারণা শুরু করেন। তারপর আমি নিজে থেকেই বিস্তারিত শেয়ার করি।
[আমি আপনার প্রতিষ্ঠান এর একজন দায়িত্বরত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, আমি রোগ নির্ণয় করে সামাজিক ভাবে রোগীদের কল্যানে কাজ করি। রোগীদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছি এরকম কোন নজির নেই। আর যারা সামাজিক ভাবে কাজ করে তারা কখনো অমানবিক হয় না।]
আমি আপনাকে না জানিয়ে আপনার সুরক্ষা কর্মীকে ব্যাক্তিগত সুরক্ষায় ব্যাবহার করেছি এজন্য আমাকে প্রতিষ্ঠান এর রুলস এবং রেগুলেশন মোতাবেক শাস্তি দিন। যাতে এরকম দুঃসাহস আর কখনো জাগ্রত না হয়।
[[ক্ষমা মহৎ গুণ, সেবাই পরম ধর্ম]]
ঘটনার পরোক্ষ্য বিবরণ লিখিতঃ
১। সাক্ষরঃ
২। সাক্ষরঃ