অথচ আজ আর আমি লিখতে পারছি না যে, সঞ্জীবদা বেঁচে রয়েছেন!
সঞ্জীবদা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন।
অথচ বৃহস্পতিবার স্ট্রোক করার আগের দিন দুপুরেও দাদার সঙ্গে দেখা হলো, কথা হলো। দাদাকে বেশ বিষন্ন দেখাচ্ছিলো। কিন্তু পরের দিনই দাদার জীবনের গাড়ি যে থেমে যাবে তা কল্পনাতেও কারো আসে নি।
******************************************
আজকের কাগজে দাদার সঙ্গে পরিচয় আজ থেকে ৮ বছর আগে। দাদার কাছ থেকেই জেনেছিলাম 'হলুদ সাংবাদিকতা' কি। ফিচারে দাদার হাতের স্পর্শ ছিলো যেন যাদুর ছোঁয়া। পাতার মেকআপ, গেটআপ বদলে যেত দাদা যখন পেজ মেকআপে বসতেন। এতো তাড়াতাড়ি করে কিভাবে পাতার চেহারার পরিবর্তন আনা যায়, তা যারা তার সঙ্গে কাজ করেছেন তারাই কেবল বলতে পারবেন।
এরপর যায়যায়দিনেও দাদা সাংবাদিকতায় তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সাংবাদিকতাকে যে কোন মানুষ এতো ভালোবাসতে পারে, তা তার কাছ থেকেই শিখেছিলাম।
********************************************
গানের সঙ্গে সঞ্জীবদার যে সখ্যতা ছিলো তা আর নতুন করে বলার কিছু নয়। গান নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসতেন তিনি। সুরের মাঝে ভ্যারিয়েশন এনেছেন নিজেন মতো করে। তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও, কালা পাখি শোন তোর চোখ কান কিছু নাই, তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ, আগুনের কথা বন্ধুকে বলি দুহাতে আগুন তাড়ো, কার ছবি নেই কেউ কি ছিলো প্রভৃতি গান শুনলেই বোঝা যাবে কতটা দরদ দিয়ে গাইলে গান শ্রোতার হৃদয় ছুঁতে পারে!
********************************************
সঞ্জীবদা তোমাকে নিয়ে লেখার ভাষা আমার জানা নাই। তোমার কাছ থেকেই তো জেনেছিলাম জীবনের মানে কি।
********************************************
তোমাকে ভীষণভাবে মিস করছি সঞ্জীবদা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৭