আমাদের চোখে তাকাও
- আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
তোমরা কি আমাদের চোখে দেখো না?
কত ইতিহাস আছে লুকিয়ে।
কত ব্যথা সেখানে, রক্তের সাথে, জলের মতো।
শুকিয়ে আছে, রোদের তাপে।
চারদিকে নরপিশাচ ,
দেখো না তুমি?
ধর্ষিত আজ আমাদের স্বাধীনতা ।
চারদিকে পাহারা দেয় পিশাচেরা,
কথা বললে, গলা টিপে ধরে।
চোখে এখন শুধু ক্ষোভ,
গলা দিয়ে বের হয়না চিৎকার।
আমাদের চোখে তুমি দেখেছো?
কেন সেখানে তুমি বিদ্রোহ দেখোনি?
দেখোনি হাজার চোখ, কি বলতে চায়।
হাজারো চোখে, হাজারো আওয়াজ ।
মানুষের নাই কোন কাজ।
বেহায়ার নাই কোন লাজ।
দুর্নীতি করেও ক্ষান্ত হয়না দুর্নীতিবাজ।
তুমি আমার চোখে দেখো কবি।
আমার চোখে তুমি আগুন পাবে।
আমার চোখে তুমি রক্ত দেখতে পাওনা?
কেন কবি কেন?
আমাদের চোখে দেখ।
সেখানে হাজার বছরের ইতিহাস পাবে।
জাগ্রত কবিতা পাবে,
বিদ্রোহী কবিতা, তোমাকে করবে বিখ্যাত।
তবে কেউ এসে।
আটকে ধরতে পারে তোমার কলম।
ধরতে পারে তোমার গলা চেপে।
তুমি কি ভয় পাবে?
আমাদের চোখে তো সেটা ছিলোনা।
ছিলোনা একাত্তরে, ছিলোনা কোনকালে।
কবি তুমি কেন ভয় পাও।
আমাদের চোখে তাকাও।
সাহস পাবে, ধৈর্য পাবে।
ভয় পালিয়ে যাবে।
তোমাকে দিবে হাজারো ইতিহাস।
আমাদের চোখে তাকাও।
কি দেখতে পাচ্ছ সেখানে?
শত চোখের জ্বলন্ত আগুন?
অধিকারের আত্মহত্যা,বস্ত্রহীন স্বাধীনতা?
দেখতে পাচ্ছো না?
এই চোখে তাকাও।
হাজারো চোখে আছে,ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন।
বেকার যুবকের চোখ।
ঘামে ভেজা, ক্লান্ত পিতার চোখ।
ধর্ষিতা নারীর শান্ত চোখ।
তাকাও ওই চোখের দিকে।
কি দেখতে পাও?
কি আছে ওইখানে ?
চারদিকে শত শত ছাত্র জনতা।
চাচ্ছে কথা বলার স্বাধীনতা ।
কেপে উঠেছে শহরে রাস্তা ।
স্লোগানে স্লোগানে চারদিকে আজ উল্লাসিত জনতা।
তুমি দেখোনা?
তুমি ওদের চোখে দেখোনা?
কি দেখতে পাও? কি আছে তাদের চোখে?
ভয় কেন দেখাও?
- আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
এই কাপুরুষের দল।
সাহস থাকে তো সামনে এসে দাঁড়াও।
কেন মুঠোফোনে কর হুমকি ধামকি?
কেন মিছে দেখাও ভয়?
এ যৌবন বারবার রাজি আছে দিতে প্রাণ।
ভয় পায়নি কোনদিন, আলিঙ্গন করেছে মৃত্যুকে বারবার।
আর কত ভয় দেখাবে?
কেন এতো অহংকার তোমাদের?
কেন বারবার ভয় দেখিয়ে জয় করতে চাও ক্ষমতা?
আমরা কি ভয় পাই?
বারবার মাথা তুলে দাঁড়াবো,।
মোরা মুক্তিযোদ্ধা জাতি,
মাথা উঁচু করে বাঁচাই যাদের মূলমন্ত্র।
ভয় দেখাতে চাও? কেন এতো নির্লজ্জ আচরণ?
ওহে ভীতু কাপুরুষের দল।
সাহস আছে আমাদের যুবাদের বুকে।
ভয় করেনা সত্য বলিতে তারা।
তারা নির্ভীক, তারা মুক্তি পাগল।
তারা উন্মাদ, তারা এ যুগের মুক্তিযোদ্ধা।
ক্ষুদে বার্তায় ভয় দেখিয়ে।
থামাতে পারবে না ছাত্রদের অধিকার আন্দোলন।
না থামবে যুব আন্দোলনের বজ্রকন্ঠ।
আমাদের লড়াই চলবে৷
এ ভীতু কাপুরুষের দল।
ভয় দেখিয়ে থামাতে পারেনি কেউ।
তোমরাও পারবেনা থামাতে।
আমিও জ্বলে উঠব।
জ্বলে উঠব আগুনের মতো।
বারুদের মতো জ্বালিয়ে দিবো তোমাদের।
অত্যাচার আর শাসকের দিন শেষ হবে।
শেষ হবে তোমাদের কালোদিন।
মোরা আবার জেগে উঠবো।
বারবার জেগে উঠবো।
শাসকের লেজে ধরিয়ে দিবো আগুন।
আমরা ভয় করিনি, ভয় করিনা।
আমাদের দেহে আছে লাখো শহীদের রক্ত।
মোরা বাঙলা মায়ের সন্তান।
বারবার মাথা উঁচু করে।
জেগে উঠবো, বিদ্রোহী প্রাণ মোরা।
জেগে উঠবেই আঠারো কোটি প্রাণ।
শাসকের ক্ষমতা থামাতে পারবে না আমাদের।
বারবার ভয় কেন দেখাও?
ভয় কেন দেখাও ও কাপুরুষের দল?
আমরা কি মরণে ভয় করি।
আমরা জেগে উঠলে, জেগে উঠবে জাতি।
তোমাদের দিন শেষ হবে।
একদিন ছাই হবে শাসকের কালো হাত।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪