মার্কেটিং এ বাজার, বাজারজাতকরন সম্পর্কে যে ধারণা দেয়। অর্থনীতি সেই সংজ্ঞা বা ধারণা দেয়না। আর আমরা সাধারণ মানুষ বাজার সম্পর্কে যে কোন স্থান হলেই বাজার বুঝে থাকি।
কেউ একজন মার্কেটিং বই থেকে এসবের বর্ণনা দিয়েছে। আপনি অর্থনীতির ভাষার সাথে সেটা না মিললো । আপনি কি তাকে বলবেন, আগে নিজে শিখে আসেন পরে অন্যকে জ্ঞান দেন। আপনার সব কথাই ভুল। আপনার কি মনে হয় । দুনিয়াতে আপনি যা জানেন সেটাই সঠিক। বাকি সব ভুল? তাহলে কূপমণ্ডূক কে? আপনি না সে?
বাজারজাতকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে বাজার হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতার বিন্যাস বা সমষ্টি।
আর অর্থনীতিতে সেই বাজার৷ হল , ; সাধারণ অর্থনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাজার এমনি একটি আর্থ-কাঠামো যা একাধিক ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যেকোনো প্রকারের পণ্য, কর্ম-দক্ষতা এবং তথ্য বিনিময়ে সাহায্য করে। অর্থের বিনিময়ে যে আদান প্রদান হয়ে থাকে তাকে নগদ লেনদেন বলা হয়।
এর প্রকরণগত বিষয় গুলোতেও রয়েছে অমিল।
২) আমরা যখন business communication ( ব্যবসা যোগাযোগ) পরীক্ষা দেই৷ সেখানে ইংরেজি ভার্ষণে সব পরীক্ষার উত্তর দিতে হয়। একদিন স্যার বলছিলেন, তোদের এই খাতা কোন ইংরেজি বিভাগের স্যার দেখলে, গোল্লা নাম্বার আসবে। কারন বেশিরভাগ ছাত্র বিজনেস কমিউনিকেশন পরীক্ষার যা উত্তর দিয়েছে। সেটা কমিউনিকেশন এর উত্তর হয়েছে ঠিকই।
তবে ইংরেজি গ্রামার এর নিয়মে একটা ( sentence) বাক্য ও ঠিক হয়নি। তার মানে ইংরেজি শিক্ষক ওই খাতায় শূন্য দিলেও
কমিউনিকেশন স্যার ৮০ এর মধ্যে ৬০,৭০ ৭৫, পর্যন্ত নাম্বার দিয়েছে।
৩) আপনি যদি যুক্তিবিদ্যা পড়েন সব বাক্য সব সিদ্ধান্ত সঠিক না। যুক্তিকে যৌক্তিক হতে হলে অনেক শর্ত পূরণ করতে হবে। আর ব্যাকরণ এ এতো কিছু লাগেনা । তাদের ব্যাকরণ ঠিক থাকলেই হল। কর্ম আর ক্রিয়া, কর্তা এসব ঠিক রাখলেই হল।
কিন্তু আপনি দুই বিদ্যাকে এক সাথে ওজন করতে পারবেন না৷ দুইটা দুই দিকের ও দুই মেরুর বাসিন্দা।
তাই একটা কথায় বলবো সব কিছু নিজের জ্ঞান দিয়ে বিচার করবেন না। মানুষকে তার জানা কথা গুলো বলতে দিন।
অর্থনীতি ক্লাসে স্যার যদি বলে বাজার এর সংজ্ঞা বল, তাহলে অর্থনীতি যেটাকে বাজার বলে সেটাই ব্যাখ্যা দিয়েন। বাজারজাতকরণের
ফিলিপ কোটলার এর সংজ্ঞা দিয়েন না। তাহলে স্যার বলবে, তুমি বসে থাকো আর ভালো করে পড়ে উত্তর দাও ।
৩) দর্শনের আবিষ্কার ও উৎপত্তি গত দিক থেকে, দর্শন অনেক প্রকারের হয়।
প্রাচীন গ্রিস,এর গ্রীক দর্শন, ভারত এর ভারতীয় দর্শন, ও চীনে দর্শনের বিস্ময়কর বিকাশের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। আরবে আছে
পারস্যের পারসী দর্শন মতবাদ। এদের একেক সময়ের দার্শনিকগণ দর্শনের বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন। এর মাঝে ইসলামিক পন্ডিতগণ
ইসলামিক দর্শন এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। একজন দর্শনের ছাত্র সব কিছুই পড়ে । এরা সবাই বিজ্ঞানের উপর নিজের দর্শনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন
তাই দর্শনের এক শাখা দিয়ে আরেক শাখার বিচার করলে হবে না আবার অন্য কেউ বলেছেন যে
জীবন ও জগতের সমস্যা নিয়ে চিন্তাই হচ্ছে দর্শন। মানুষের চিন্তা তার সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। এই কারণে মানুষের সমাজ অর্থনীতিক বিকাশের যে প্রধান পর্যায়গুলি অতিক্রম করে এসেছে দর্শনের বিবর্তনেও সেই পর্যায়গুলির প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। এজন্য দর্শনের ইতিহাসকে গ্রিক, ভারতীয়, চৈনিক, প্রাচ্য, পাশ্চাত্য বা ইউরোপীয়, কিংবা হিন্দু, ইসলামি, বৌদ্ধ প্রভৃতি হিসেবে বিভক্ত না করে দাস সমাজের দর্শন, সামন্তবাদী সমাজের দর্শন, পুঁজিবাদী সমাজের এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজের দর্শন হিসাবে বিশ্লেষণ করা শ্রেয়।(উইকিপিডিয়া)
তাই এসব সব কিছুই মাথায় রাখতে হবে।
আমি কাউকে জ্ঞান দিতে না। শুধু এইটুকু বলতে চাইছি। সবার ব্যাখ্যা এক না ।সব থিউরি এক না। আর প্রতিটি বিষয়ের হাজারো দিক পথ মত হয়। হাজারো সংজ্ঞা হয়। হাজারো ব্যাখ্যা হয়। আর আপনি আপনার ব্যাখ্যা দিয়ে কাউকে মূর্খ বলে ঘোষণা করাটা বন্ধ করুন। আশা করি বুঝতে পারছেন।
একটা বিষয় সব জায়গায় এক রকম সংজ্ঞা হবেনা। সব পন্ডিতগণ এক রকম ব্যাখ্যা করেননি। এবং এটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। যেমন আমাদের দর্শনের স্যার সব সময় যে উদাহরণ দিয়ে বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে বলতেন, সেটা হল,, কবি ও শিল্পী রা গান লিখে কবিতা লিখে, বুকের বাম পাশে, বুকের মাঝে মন আছে। আরে এই মন বুকে থাকে এর কোন যুক্তিগত ব্যাখ্যা নাই।
মানুষের চিন্তা, ভাবনা, সব কিছুই ব্রেনের কাজ। ব্রেনের নানান সেল থাকে। আলাদা অংশ আলাদা কাজ করে। আর এইখানে সব প্রসেসিং এর কাজ হয় । এটা আমাদের সি পি ইউ এ থাকা প্রসেসর।
হাসতেন আর বলতেন, সাহিত্যিকদের ধরে দর্শন আর যুক্তিবিদ্যা পড়ানো দরকার। যদিও সেটা জোক্স করেই বলতেন।
তার কথা আমার সব সময় মনে থাকবে, বলতেন, প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা দর্শন থাকে। ধর্ম এটাও একটা দর্শন।
দৃষ্টিভঙ্গি। কখনো দর্শন জানেনা এমন কারো সাথে দর্শন নিয়ে যুক্তি নিয়ে তর্ক করা ঠিক না। সে বলবে
গরু ঘাস খায়।
মানুষ গরু খায়।
মানুষ ঘাস খায়।
এসব আছে তোদের বইয়ে। তোরা যুক্তিবিদ্যার সব স্যার ছাত্র পাগল।
তাই তাদের সাথে যুক্তি দেখাইয়ো না।
৪) সবচাইতে বড় ব্যাখ্যা টা হল, আমরা বিজ্ঞান বইয়ে পড়ি, দাতা রক্ত আর গ্রহিতা রক্তদাতা ।
এই চার্ট গুলোর জ্ঞান সম্পর্কে সবাই জানি। তবে ডাক্তাররা বলেন এটা কেবল ওই থিউরি বইয়েই সীমাবদ্ধ। এটা বাস্তবে সবসময় সম্ভব না । এরকম করলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাহলে আপনি কি ডাক্তার কে মূর্খ বলবেন। বলবেন ডাক্তার তুমি বই পড়নাই? ভালো করে জেনে তারপর জ্ঞান দাও।
এইখানে গবেষকেরা গবেষণা করেছেন বই লিখেছেন। কিন্তু তারা বাস্তবে কাজ করেননি। ডাক্তার সাহেব বাস্তবে প্রয়োগ করছেন বা করবেন তাই সব থিউরি তার কাজে আসবে না। সেটা তিনি জানেন আমরা জানিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১১